আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজার নেতৃত্বে প্রতিদিন বিভিন্ন বাজার মনিটরিং, ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানার পাশাপাশি নিত্য প্রয়্জেনীয় দ্রব্যমূল্যের মুল্য ঊর্ধ্বগতি রোধে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হলেও ব্যবসায়ীরা তোয়াক্কাই করছে না। প্রতি ঘন্টার ব্যবধানে চাউল, ডাউল, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। উপজেলার সচেতন মহলের বক্তব্য, সম্পতি বিশ্ব জুড়ে ”করোনা’ ভাইরাসের নামে যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এর চেয়ে কয়েক গুন মারাত্মক ভাইরাস আমাদের দেশের অসাধু ব্যাবসায়ীরা। তবে এ সময়ে দ্রব্যমুল্য উর্ধ্বগতীর জন্য অসাধু ব্যাবসায়ীদের পাশাপাশি ক্রেতারাও দ্বায়ী এমনটি বলছেন অনেকে। ইতপূর্বে যারা এক দিনে ৩ অথবা ৭ দিনের বাজার করতেন তারা বর্তমানে ”করোনা” আতঙ্কে ৭ থেকে ১ মাসের বাজার করছেন। আর এ সুজোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন ব্যাবসায়ীরা। শনিবার (২১ মার্চ) বড়দল, কাদাকাটি ও শ্রীউলা ইউনিয়নের একাধিক বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা। এসময় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন জিনিষের মুল্য তালিকা না থাকার অপরাধে একাধিক দোকান মালিককে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে নগত জরিমানাও আদায় করা হয়েছে। এত কিছিুর পরেও কোন ভাবেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিষের মুল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম যেন টেনে ধরে রাখা যাচ্ছে না। আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা প্রতিবেদককে জানান, আমি রাতেও বাজার মনিটরিং এ যাচ্ছি। সর্বচ্ছ চেষ্টা করে যাচ্ছি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মুল্যের দাম সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য। তবে ব্যাবসায়ীরা যাহাতে চলমান ”করোনা” আতঙ্কের সুজোগটা কাজে লাগিয়ে দ্রব্য মুল্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেজন্য সাধারন মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। আজও আমরা উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেছি এবং একই সাথে একাধিক ব্যাবসায়ীকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট