বিদেশের খবর: করোনায় সারাবিশ্বেই মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সার্বক্ষণিক হিসাব রাখা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। মারা গেছেন ৩০ হাজার ৮৭৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজার ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ইতালিতে। দেশটিতে শনিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত ৯২ হাজার ৪৭২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে এক লাখ ১৩ হাজার ৬৭৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। মারা গেছেন এক হাজার ৯০৩ জন। শনিবার দেশটিতে এক দিনেই প্রায় ১৯ হাজার আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু নিউইয়র্ক রাজ্যেই ২৬ হাজার ৬৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে ১৪৪, ওয়াশিংটনে ১৭৫ এবং লুইজিয়ানায় ১১৯ জন মারা গেছেন। নিউইয়র্ক পুলিশের ৫০০ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালিও। আর মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালির পর স্পেনও চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৯৪। মারা গেছেন তিন হাজার ২৯৫ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাজ্যে গতকাল আরও ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এক দিনে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা এটি। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে মৃতের সংখ্যা এক হাজার ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ দিকে দুই মাসেরও বেশি সময় বিচ্ছিন্ন থাকার পর চীনের উহান শহর থেকে লকডাউন তুলে নেওয়া শুরু হয়েছে। শনিবার কিছু মেট্রো সার্ভিস ফের চালু ও সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে এবং পরিবারের সদস্যদের ফের একত্রিত হওয়ারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে শহরটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে বলে আভাস মিলেছে। চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুরো হুবেই প্রদেশজুড়ে অন্তত তিন হাজার রোগীর মৃত্যু হয়। চীন সরকার গতকাল আরও ৫৪ জন করোনা রোগীকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে। তারা সবাই বিদেশফেরত।