অনলাইন ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কারও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যেহেতু মৃত ব্যক্তি কোন শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারে না তাই তিনি কোন ভাইরাস সংক্রমিত করতে পারে না। তবে মৃতদেহ সৎকারের সময় হাতের সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। গত ২৪ মার্চ Infection Prevention and Control for the safe management of a dead body in the context of COVID-19 শিরোনামের একটি নিবন্ধে তারা এসব তথ্য জানিয়েছে।
ওই নিবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, সংক্রামক ব্যাধিতে মৃতদের পুড়িয়ে ফেলা উচিত- এমন গুজব চালু রয়েছে। তবে তা সত্যি নয়। ইবোলা, মারবার্গ, কলেরা ছাড়া, অন্য ভাইরাসে মৃতদেহ অন্য কারো শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয় না। তবে সংক্রমিত ব্যক্তির ফুসফুসের যদি ময়নাতদন্তের সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা না হয়, তবে তা সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া মৃতদেহ সংক্রমণ ছড়াতে পারে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কভিড-১৯ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা যা ফুসফুসের ওপর প্রভাব ফেলে, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য-প্রমাণাদি পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে যে এ ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়। এটা একটি নতুন ভাইরাস যার সূত্রপাত এবং রোগের বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এখনো জানা যায়নি। বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিজ নিজ সমাজের রীতি অনুযায়ী মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা যেতে পারে এবং কবর দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নির্দেশনা নেই। যথাসম্ভব দ্রুত মরদেহে সমাধিক্ষেত্রে নিয়ে যেতে হবে। মৃতদেহ পরিবহনে বিশেষ গাড়ির প্রয়োজন নেই এবং সমাধিক্ষেত্রে পাঠানোর সময় মৃতদেহের ওপর জীবানুনাশক ছিটানোর প্রয়োজন নেই। রীতি মেনে মৃতদেহ সৎকারের আগে স্বজনরা শেষবারের জন্য প্রিয়জনের মুখ দেখতে পারেন। তবে মৃতদেহ স্পর্শ করা বা চুমু খাওয়া যাবে না। সমাধিস্ত করার পর এর দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের গ্লাভস খুলে ফেলার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। যারা মৃতদেহের সংস্পর্শে আসবেন তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পরবেন (গাউন এবং গ্লাভসসহ)। মৃতদেহের জন্য আলাদা ব্যাগের দরকার নেই, তবে অন্য কোনো কারণে প্রয়োজন হতে পারে (মৃতদেহের শরীর থেকে কোনো তরল গড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে)।
পূর্ববর্তী পোস্ট