আসাদুজ্জামান : সাতক্ষীরার ফিংড়ি ইউনিয়নের সুলতানপুরে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাতে ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তবে, ধর্ষক আব্দুস ছালাম পলাতক থাকায় পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হননি। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষক আব্দুস ছালাম (৪৫) সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনয়নের জিফুলবাড়িয়া গ্রামের মৃত ছদরুদ্দীনের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ধর্ষক আব্দুস ছালাম ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়ির উপর দিয়ে প্রায়ই যাতায়াত করতো। এই সুবাদে তার সঙ্গে কথাবার্তা হতো। এক পর্যায়ে গত ২৯ মার্চ সকাল ১০ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রী তাদের বাড়ির পাশে একটি বিলে গবাদী পশুর জন্য ঘাস কাটতে যায়। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা লম্পট আব্দুস ছালাম তাকে খাবার খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পাশ্ববর্তী একটি আমবাগানে নিয়ে তার হাত ও মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষন করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এদিকে এ ঘটনাটি তাদের পাশে থাকা জনৈক সাগর নামের ১৩ বছরের অপর এক কিশোর দেখে ফেলে। কিন্তু সেও ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। এ ঘটনার দুই দিন পর বুধবার বিকালে কিশোর সাগর ঘটনাটি ওই স্কুল ছাত্রীর ভাইকে জানানোর পর বিষয়টি জানাজানি হয়। এরপর ওই স্কুল ছাত্রীর ভাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে রাতেই ধর্ষক আব্দুস ছালামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে, ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীকে তার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক ধর্ষক আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট