০৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূতসহ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় “ কর্মহীন মানুষদের খাদ্য সহায়তা: লাবসা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সম্পাদককে কুপিয়ে জখম” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে আমি লাবসা ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ: আলিম ইউনিয়নের উন্নয়ন খাতের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে মামলা চলমান। উক্ত মামলার বাদী আমি।
আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম এর ইন্ধনে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী নলকুড়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের পুত্র ইয়ারুল ইসলাম তালিকা করার জন্য দু’টি পাড়া থেকে ভোটার আইডির ফটোকপি সংগ্রহ করে তার ব্যক্তিগত আর্থিক সুবিধার চেষ্টা করে। এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করায় ০৫ এপ্রিল কদমতলা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালাতে আসে। কিন্তু সফল হয়নি। পরবর্তীতে নিজেই জনসাধারণের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গণধোলায়ের কবলে পড়ে আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এ ঘটনায় আমার সামাজিক মান ক্ষুন্ন করতে মাদক ব্যবসায়ী ইয়ারুল নিজেকে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবি করে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়েছে। অথচ সম্মেলনের মাধ্যমে আমি লাবসা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। আমার কমিটি এখনও বহাল এবং নতুন কোন কমিটি সেখানে হয়নি।
এছাড়া আমি ও মহিলা ইউপি সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম মিষ্টি মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত পূর্বক দুস্থ মানুষের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ করেছি।
উল্লেখ্য: ইয়ারুল ইসলাম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বাড়ি তলুইগাছা, হওয়ার সুবাদে মাদক, সোনা চোরাচালান, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপকর্মের গডফাদার হিসেবে ইয়ারুল আন্ডারওয়াল্ডে খুব পরিচিত নাম। একাধিক মামলার আসামি হাসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। ইতিপূর্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে কয়েকবার আটক হয়। কিন্তু পরবর্তীতে প্রভাব খাটিয়ে বাহিরে বের হয়ে আসে। আমি উক্ত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ গোলাম কিবরিয়া বাবু,
ইউপি সদস্য (৬নং ওয়ার্ড), ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন।
সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা যুবলীগ।
সাধারণ সম্পাদক, ১৩নং লাবসা ইউনিয়ন যুবলীগ।