নিজস্ব প্রতিনিধি : মহামারি করোনা ভাইরাস এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে লন্ডভন্ড শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তার বুক ভরা স্বপ্ন। একদিকে ঋণের বোঝা ও অন্যদিকে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সব মিলিয়ে চরম হতাশার মধ্যে দিন কাটছে যুবক উদ্যোক্তা সাতক্ষীরার মোস্তফা জামানের। তার মত শিক্ষিত যুবক উদ্যোক্তাদের মনবল বৃদ্ধির জন্য এ সংকটময় মুহুর্তে সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী উদ্যোক্তা। তিনি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মৃত. আলমগীর মুকুলের পুত্র।
মোস্তফা জামান জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে ¯œাতক সম্পন্ন করে মালয়েশিয়ার সুলতান জয়নাল আবেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক শিক্ষা কেন্দ্র আলফা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ থেকে সার্টিফিকেট ইন বিজনেস এডমিনস্ট্রেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষিত যুবকদের উদ্যোক্তা হওয়ার আহবানে সাড়া দিয়ে চাকুরির চেষ্টা না করে নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। সে অনুযায়ী ভোমরা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে মসলা প্রস্তুতকারক, ওয়েল প্রস্তুতকারক ও রাইচ মিল ব্যবসা করেন এবং বিগত ২০১৮ সালে বিভিন্ন এনজিও এর কাছ ঋণ নিয়ে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা মুকুল ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠা করেন। ইতোমধ্যে তাদের প্রস্তুতকৃত নারিকেল তেল নেপালে রপ্তানি এবং সরিষার তেল, মসলা ও মুড়ি মধ্যপ্রাচ্য,চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার রপ্তানির উদ্দেশ্যে সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনায় ভাইরাসের কারনে নবীন উদ্যোক্তা মোস্তফা জামানের সে স্বপ্ন বিলিন হতে বসেছে । প্রতিষ্ঠানটির সকল কার্যক্রম বন্ধ রেখে দীর্ঘদিন কর্মচারীদের বেতন বহন করতে গিয়ে মূলধন ইতোমধ্যে সংকটের দ্বারপ্রান্তে। পাশাপাশি ঋণের বোঝা। এর মধ্যে আবার ভয়ঙ্কর ঘূণিঝড় আম্ফানের প্রতিষ্ঠানটির ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। সেখানে থাকা প্রায় ৮ থেকে ১০লক্ষ টাকার শুকনা মরিচ, সরিষা ও চাউল নষ্ট হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, আমার মত নবীণ উদ্যোক্তারা যারা রয়েছে তাদের কে এ সংকটময় মুহুর্তে সহযোগিতা না করলে অচিরেই এসব উদ্যোক্তারা হারিয়ে যাবে।