অনলাইন ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ মনোভাব প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এ পর্যন্ত গৃহীত ব্যবস্থা, চিকিৎসাসামগ্রী সংগ্রহ পরিকল্পনা এবং আগামী দিনেও করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গৃহীত উদ্যোগ পর্যালোচনা করেন। ‘শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন’ বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
সভায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এবং কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোরশেদ জামান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় করোনা রোগীদের চিকিৎসায় ইমপালসের মতো আরও কিছু হাসপাতাল অধিগ্রহণ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া চিকিৎসকদের চিকিৎসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) একটি অংশ নির্ধারণের প্রস্তাবেও মত দেন তিনি। এসময় তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহর ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী দেশে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটির সাথে বৈঠকে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসন আরও বড় পরিসরে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
এর আগে, দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া ঠোকাতে ১৯ এপ্রিল সরকার ১৭ সদস্যের জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করে।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন এবং ৪০০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৩০৫ জন। করোনায় নতুন যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।