দেশের খবর : করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অতি প্রয়োজনীয় মাস্ক ও পিপিইসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনায় দুর্নীতি অনুসন্ধানে সংস্থার পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই টিমের পক্ষ থেকে তথ্য চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ তিন সংস্থার কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রোববার (২১ জুন) অনুসন্ধান টিমের প্রধান ও দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর স্বাক্ষর করা চিঠিগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে করোনাকালীন ডাক্তার, নার্স ও অন্যন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অতি প্রয়োজনীয় মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনাকাটার সব ধরনের রেকর্ডপত্র সরবরাহের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি দমনে দুদক কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। একটি পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধানের মাধ্যমে অপরাধ অপরাধীদের চিহ্নিত করা হবে। অপরাধী যেই হোন না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধীদের সামাজিক, পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশন ন্যূনতম গুরুত্ব দিবে না। অপরাধীদের আইনের মুখোমুখি করা হবেই।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি, যন্ত্রপাতি, মাস্ক, পিপিই, স্যানিটাইজার, আইসিইউ যন্ত্রপাতি, ভেন্টিলেটর, পিসিআর মেশিন, কোভিড টেস্ট কিট ও অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ে মন্ত্রণালয়ের আওতায় শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত গৃহীত প্রকল্পসমূহের নাম, বরাদ্দকৃত ও ব্যয়িত অর্থের পরিমাণ ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে মেসার্স জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডসহ অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে থাকলে সেগুলোর রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়।
গত ২৬ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে যেসব ডাক্তারকে বদলি করা হয়েছে তাদের নাম, পদবী, বর্তমান কর্মস্থল, পূর্ববর্তী কর্মস্থল, মোবাইল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালকের কাছেও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে চার সদস্যের এই টিমের অন্য সদস্যরা হলেন- উপপরিচালক মো. নুরুল হুদা, সহকারী পরিচালক মো. সাঈদুজ্জামান নন্দন ও আতাউর রহমান।