অনলাইন ডেস্ক : চিত্রনায়ক, ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল চলমান ধর্ষণের প্রতিবাদ-আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানে ধর্ষকদের শাস্তির দাবি করলেও ধর্ষণের জন্য নারীর পোশাককে দায়ী করেছেন তিনি।
তার মতে, শালীন পোশাক পরা নারী কখনোই ধর্ষণের শিকার হন না। পোশাক ভালো না হলে তার শরীর-ফিগার দেখে বাজে স্বভাবের লোকজন ধর্ষণের উস্কানি পায়।
তার এই মন্তব্যকে ঘিরে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ছয় মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে তিনি ধর্ষকদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোরা পুরুষ? নিজেদের বীরপুরুষ ভাবিস? তোরা কাপুরুষ। তোদের সামনে যদি তোদেরই স্ত্রী-কন্যাকে রেইপ করা হয় তাহলে কেমন লাগবে? এই যে ধর্ষণ করে সারা দেশে আন্দোলন-প্রতিবাদের জন্য একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে এটা দেখে কি খুব হাসি আসছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘তোর বাবা-মাকে মানুষ কী বলে? একবার ভেবে দেখ, তোর জন্য, তোদের জন্য মা জাতি আজ দেশে কলঙ্কিত।’
নারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমাদের ভাই হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই। নাটক, সিনেমা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনুসরণ করে অন্য দেশের মেয়েদের মতো মডার্ন হতে গিয়ে, বিদেশি সংস্কৃতির পোশাক পরছো। এসব পোশাকের জন্য রাস্তার বখাটেরা আল্লাহর দেওয়া তোমার চেহারাটার দিকে না তাকিয়ে তারা তোমার শরীর ও ফিগারের দিকে নজর দেয়। তোমাদের পোশাক দেখেই তারা তোমাদের ফিগার নিয়ে নানা কথা বলে। আর তাদের মাথায় ধর্ষণের চিন্তা আসে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কথাগুলো আজ তিতা মনে হতে পারে। খুব তিতা। কারণ এর আগে আমি কখনোই এ ধরনের কথা বলি নাই। কিন্তু এগুলো সবই সত্যি কথা। কেন এ ধরনের ড্রেস পরতে হবে? এগুলো কি মডার্ন ড্রেস, নাকি অশালীন ড্রেস? মডার্ন হলো শুধু তোমাদের চেহারাটা দেখা যাবে যা আল্লাহ তোমাকে দিয়েছেন। আর বাকি শরীর সব ঢেকে রাখতে হবে।’
‘ছেলেদের মতো একটা টি-শার্ট পরে রাস্তায় বের হয়ে যাও। খুব মডার্ন তুমি। নিজেকে অনেক মডার্ন মনে করো। তারপর ইজ্জত হারিয়ে বাসায় যাও। হয় আত্মহত্যা করো, নয়তো কাউকে আর মুখ দেখাতে পারো না। শালীন ড্রেস পরলে যারা বখাটে, যারা ধর্ষণের চিন্তা-ভাবনা করে তারাও তোমার দিকে তাকাবে না। সম্মান করবে। মাটির দিকে তাকিয়ে চলে যাবে’, বলেন তিনি।