সাতক্ষীরায় সচেতন শিক্ষার্থীদের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের অনুষ্ঠিত সমাবেশটি ছিলো ধর্ষনের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এখানে কোন রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান ছিলো না। কিন্তু কতিপয় ছাত্ররা রাজনৈতিক পোস্ট করেছেন। যা অত্যন্ত দু:খজনক।
উল্লেখ্য: দেশব্যাপী নারীর প্রতি সহিংস,নির্মম ও পাশবিক আচরনের প্রতিবাদে সাতক্ষীরাতে গত ৮ ও ৯ অক্টোবর দুইদিনব্যাপী “রুখে দাও নির্যাতন” শীর্ষক সামাজিক আন্দোলনে অংশ নেন সাতক্ষীরার সকল স্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দ। ধর্ষন একটি জঘন্য সামাজিক অপরাধ এবং ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যু দণ্ড হোক এই দাবীতেই শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন প্রথমদিন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এবং দ্বিতীয়দিন অবস্থান নেন সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
এই সামাজিক ও সম্পুর্ন অরাজনৈতিক আন্দোলনটি সাফল্য অর্জন করেছে। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে সাতক্ষীরার সকল স্তরের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
“রুখে দাও নির্যযাতন” শীর্ষক সামাজিক আন্দোলনটির মূল প্রতিপাদ্য দফা ছিল মোট ১০ টি । কারণ শিক্ষার্থীরা মনে করে ধর্ষণের মত এরকম জঘন্য অপরাধকে তৃণমূল পর্যায় থেকে নির্মুল করার জন্যে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি আরও অনেক সামাজিক ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন যেগুলো দশদফা দাবীর মধ্যে ইতোমধ্যে তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা চায় বাংলাদেশ একটি ধর্ষন ও অন্যান্য অপরাধমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত হোক।
যেহেতু এই আন্দোলনটি ছিল সম্পুর্ন সামাজিক ও অরাজনৈতিক আন্দোলন এবং দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর সম্মিলিত চাওয়া।স্বাভাবিক ভাবে কিছু অসাধু মহল আন্দোলনটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্যে চেষ্টা করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ সেটা শক্তহাতে নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়।
১৭ অক্টোবর এই আন্দোলনের আয়োজকবৃন্দের একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের মাধ্যমে সরকারকে সাধুবাদজ্ঞাপনসহ এই অপরাধকে কিভাবে নির্মূল করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা করেন। আয়োজকরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সকল স্তরের জনগণের কাছে সহযোগিতা কামনা করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
পূর্ববর্তী পোস্ট