দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে দেবহাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে জন্য বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কার্যালয় ধানমন্ডি-৩ গিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান।
দেবহাটা উপজেলা পরিষদের উপ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের বার বার নির্বাচিত সভাপতি সাধারন মানুষের সুখ দুঃখের সাথী গরিব মেহনতি মানুষের আশার আলো সদালপী সৎ যোগ্য ব্যাক্তি আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান
তৃনমূল থেকে উঠে আশা একজন আওয়ামীলীগ নেতা আলহাজ্ব মোঃ মুজিবর রহমান মাত্র ১৮ বছর বয়স ১৯৭৬ সালে প্রথম ইউপি সদস্য হয়েছিলেন- ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত টানা ২২ ছিলেন ইউপি সদস্য ছিলেন। ১৯৮২ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি হিসেবে। ২০১২ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবধি পরপর দুইবার দলীয় নেতাকর্মীদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির। তৃনমুলের নেতাকর্মী ও জনসাধারণের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকার অভুতপূর্ব উন্নয়ন ও মানুষের কল্যানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। হ্যা, তিনি দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জননন্দিত নেতা আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। ১৯৫৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারী দেবহাটা উপজেলার সাংবাড়িয়া গ্রামে মরহুম আলহাজ্ব মাদার আলী ও মরহুমা জামেনা বেগম দম্পতির ঘর আলো করে জন্মগ্রহন করেন আজকের এই বর্ষিয়ান আওয়ামী রাজনীতিবীদ ও উন্নয়নের রুপকার আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। বর্তমানে তার বয়স ৬১। সুদুর রাজনৈতিক পরিচিতির বাইরেও শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক হিসেবেও সুপরিচিত আলহাজ্ব মুজিবর রহমান আজীবন কাজ করছেন শিক্ষা ও সমাজের উন্নয়নে।
হাদিপুর আহছানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশ বছর সহ-সভাপতি এবং পাঁচ বছর সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। ২০০৭ সাল থেকে অদ্যবধি রয়েছেন হাদিপুর জগন্নাথপুর আহছানিয়া আলিম মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্বে। একই সাতে টানা বাইশ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন দেবীশহর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। সাংবেড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইতোপূর্বে দশ বছর এবং বর্তমানেও সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। প্রতিষ্ঠা করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদানে জাতীয়করণ হওয়া সাংবাড়িয়া ও আতাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নতুন ভবন, উপজেলার অন্যতম ব্যবসায়িক এলাকা গাজীরহাট বাজার ও মৎস্য আড়ৎটিও প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। বর্তমানে দেবহাটা উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটি, স্বাস্থ্য কমিটি, চোরাচালান নিরোধ কমিটি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, রাজস্ব কমিটি এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কমিটিসহ উন্নয়নমুলোক বহু কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মুজিবর রহমান।
সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে জনকল্যানে নিজ এলাকাসহ গোটা দেবহাটা উপজেলাতে আলহাজ্ব মুজিবর রহমান অভুতপূর্ব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। তাই সংক্ষিপ্ত পরিচিতির পর তার কিছু উন্নয়ন মুলোক কর্মকান্ডের তথ্য সংবাদে উপস্থাপন না করলেই নয়। যেমন, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অবদানে এবং সাতক্ষীরা -৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক এমপির সার্বিক সহযোগীতায় নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা দক্ষিন নাংলা ও আষ্কারপুরে দুটি সুপেয় পানির প্রকল্প নির্মান করেছেন তিনি। দেবহাটা উপজেলাতে শতভাগ বিদ্যুতায়নের রুপকার তিনি। নওয়াপাড়া ইউনিয়নের প্রায় অধিকাংশ কাচা রাস্তা কার্পেটিংকরণ ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বহু রাস্তা ইটসোলিং ও কার্পেটিংয়ের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হিসেবে বলতে গেলে দেবহাটার গাজীরহাট বাজার থেকে বদরতলা হয়ে আশাশুনী উপজেলার বুধহাটাগামী ২২ কিলোমিটার রাস্তা ২১ কোটি টাকা বরাদ্দকরনের মাধ্যমে কার্পেটিং করিয়েছেন তিনি। উপজেলার দূর্যোগপ্রবন ও প্রত্যন্ত এলাকা সমুহের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রের বরাদ্দ ও স্থাপন করিয়েছেন। অক্লান্ত পরিশ্রমের বিনিময়ে চাঁদপুর হাইস্কুলটি এমপিও ভুক্ত করেছেন তিনি। হাদিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হাদিপুর আলীম মাদ্রাসা, চাঁদপুর হাইস্কুল, ঘোনাপাড়া মহিলা মাদ্রাসা, নওয়াপাড়া আলীম মাদ্রাসা, নাংলা ফতেমা রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ দেবহাটা উপজেলার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আধুনিক নতুন ভবনের বরাদ্দ ও নির্মান কাজ সম্পন্ন করেছেন আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। ধর্মীয় পৃষ্টপোষক হিসেবে উপজেলার অধিকাংশ মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসায় আর্থিক অনুদানও প্রদান করেছেন তিনি। এক কথায় বলতে গেলে বিগত কয়েক বছরে দেবহাটা উপজেলাতে এমন খুব কমই উন্নয়ন মুলোক কর্মকান্ড বাস্তবায়িত হয়েছে, যার পিছনে আলহাজ্ব মুজিবর রহমানের অবদান নেই কিংবা তার হাতের ছোঁয়া লাগেনি।
অভুতপূর্ব উন্নয়ন করলেও, বরাবরই এসব সাফল্যের একক স্বীকৃতি কখনো নিজের মাথায় নিতে চাননি তিনি। আর প্রচার বিমুখ হওয়ায় নিজের অবদানের ঢোল কখনো নিজের মুখে পেটাতে দেখা যায়নি তাকে।
তবে এসব উন্নয়ন মুলোক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন এবং জনকল্যানে কাজ করে উপজেলাবাসীর অবর্ননীয় ভালবাসা পেয়েছেন আলহাজ্ব মুজিবর রহমান। নগন্য ইউপি সদস্য থেকে যাত্রা শুরু হলেও আজ দেবহাটা উপজেলার শীর্ষ জননন্দিত ও জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতার মুকুটটি তার মাথায় পরিয়ে দিয়েছেন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ ও তৃনমুলের দলীয় নেতাকর্মীরা।
যারই ধারাবাহিকতায় আলহাজ্ব মুজিবর রহমান নেতাকর্মীদের ভোটে পরপর দুই বার নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সর্বশেষ নির্বাচিত হয়েছেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তাছাড়া জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকায় আগামীতেও এই দুটি পদেই তার নির্বাচিত হওয়ার আমূল সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অর্থাৎ শীর্ষ নেতৃত্বের লড়াই নিয়ে একাধিক প্রতিপক্ষও রয়েছে তার।করোনা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নির্দেশক্রমে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট