দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটার মাঘরীতে প্রতিপক্ষের হামলা ও একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । এদিকে গুরুতর আহতবস্তায় টানা চারদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আহত নারী রোকেয়া বেগম’র (৬৫) মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আহত রোকেয়া বেগমের। তিনি দেবহাটা উপজেলার মাঘরী গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী।
এরআগে পূর্ববিরোধের জের ধরে শনিবার সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনায় রোকেয়া বেগম, তার স্বামী আব্দুস সামাদ (৬৮), ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) ও পুত্রবধূ আরিফা খাতুন (১৯) কে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালাম ও তার দুই ছেলে সবুজ এবং ইমরোজ, ভাই জামাত আলী ও ভাইপো ইমাদুল ইসলাম। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমসহ তার পরিবারের আহত চার সদস্যকে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। ওইদিনই আহত রোকেয়া বেগমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে আহতদের মধ্যে থেকে রোকেয়া বেগমের শারিরীক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে রোকেয়া বেগম মারা যান।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোকেয়া বেগমের লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ এবং মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জামাত আলীর স্ত্রীকে থানায় নেয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
উল্লেখ্য, রোকেয়া বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে জখম করা প্রতিপক্ষরা দুঃষ্কৃতি প্রকৃতির উল্লেখ করে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবেশী জানান, হামলাকারী আব্দুস সালাম ও তার দুই ছেলে সবুজ এবং ইমরোজসহ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরির মামলাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। তারা প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের ছত্রছায়ায় থাকায় এলাকার বিভিন্ন মানুষের ওপর হামলা চালিয়েও পার পেয়ে যায়। কিছুদিন আগেও অভিযুক্ত আব্দুস সালামের অপর ছেলে মিলন স্থানীয় এক হোটেল ব্যবসায়ীর নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে। অপহরনের কয়েকদিন পর মেয়েটিকে আশাশুনি থেকে উদ্ধার করা হলেও আশ্রয়দাতা ওইসব প্রভাবশালীদের প্রভাবের কারনে আইনের আওতার আসেনি তারা।