অনলাইন ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। এছাড়া সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১টি পদ শূন্য রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা আছে। অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা এবং জনসাধারণের মধ্য হতে বিশেষ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি বর্গসহ বর্তমানে চুক্তিভিত্তিক নিযুক্ত কর্মকর্তা সংখ্যা ১৪৬ জন।
সরকারি দলের সংসদ বেনজীর আহমেদের লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বর্তমানে দেশের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তরসহ সরকারী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পদে শূন্য পদেও মধ্যে প্রথম শ্রেণিতে (৯ম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব) শূন্য ৫৫হাজার ৩৮৯টি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে (১০ম গ্রেড) শূন্য ৪৯ হাজার ১৪২টি, তৃতীয় শ্রেণিতে (১১ থেকে ১৬ তম গ্রেড) শূন্য ১লাখ ৭৭ হাজার ৭৭৯টি চতুর্থ শ্রেণিতে (শূন্য ১৭ থেকে ২০ তম গ্রেড) ৮৭ হাজার ১৪১টি পদ শূন্য রয়েছে।
একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, সরকারি অফিসসমূহে শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। শূন্য পদ পূরণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ৩৮তম বিসিএস’র মাধ্যমে দুই হাজার ২০৪ জন কর্মকর্তার নিয়োগ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ চলমান। ৩৯তম বিসিএস’র মাধ্যমে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা ও রাষ্ট্রের জরুরী প্রয়োজনে নবসৃষ্ট সহকারী সার্জনের স্থায়ী ক্যাডার পদে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৪০তম বিসিএস’র মাধ্যমে এক হাজার ৯০৩ জন জনবল নিয়োগ করা হবে। যার লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪১তম বিসিএস’র মাধ্যমে দুই হাজার ১৬৬জন জনবল নিয়োগ করা হবে। এছাড়াও ৪২তম (বিশেষ) বিসিএস’র মাধ্যমে দুই হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে।
সংরক্ষিত সংসদ সদস্য সৈয়দা রুবিনা আক্তারের প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদপ্তর/ সংস্থায় ৩ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫১টি শূন্য পদ রয়েছে। দেশের বেকারত্বের হার হ্রাস করতে সরাকরি অফিসসমূহে শূন্য পদে লোক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ৩৮তম বিসিএস এর মাধ্যমে ২ হাজার ২০৪ জন কর্মকর্তা নিয়োগ কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাজ চলমান আছে। এছাড়া ৩৯তম বিসিএস এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রের জরুরী প্রয়োজনে নবসৃষ্ট সহকারী সার্জন এর স্থায়ী ক্যাডার পদে ২ হাজার জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
তাছাড়া ৪০তম বিসিএস এর মাধ্যমে ১ হাজার ৯০৩ জন জনবল নিয়োগ করা হবে যার লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। ৪১তম বিসিএস এর মাধ্যমে ২ হাজার ১৬৬ জন জনবল নিয়োগ করা হবে। ৪২তম বিসিএস এর মাধ্যমে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ করা হবে বলেও জানান তিনি।