নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মামলা তুলে নিতে রাজী না হওয়ায় বাদির উপর হামলা চালানো হয়েছে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাতক্ষীরার তালা সদরের মাছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
দৈনিক প্রজন্ম ভাবনা পত্রিকার তালা প্রতিনিধি ও উপজেলার গোপালপুর গ্রামের সুমন রায় গণেশ জানান, স্থানীয় একটি সমিতির লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধকে ঘিরে তার বাবার উপর গত ১৬ আগষ্ট প্রথম দফায় ও ১০ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায় উপজেলার মাঝিয়াড়া গ্রামের কুমারেশ বিশ্বাসের স্ত্রী এক সময়কার মাদক ব্যবসায়ি পুষ্প রানী বিশ্বাস ও তার ছেলে মানিক বিশ্বাস। বাবাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে জখম অবস্থায় তালা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদি হয়ে ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশান (পিবিআই) এর উপপরিদর্শক রইচউদ্দিন ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লস্কর জায়াদুল হক দু’ দফায় তদন্তে ঘটনান্থলে আসেন। তাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা ব্যর্থ হলে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। তারা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সন্ত্রাসীদের দিয়ে হুমকি দিয়ে আসছিল।
সুমন রায় গনেশ আরো জানান, রোববার সকাল সাড়ে আটটার দিকে তিনি তার এক আত্মীয় পুলিশের উপপরিদর্শক প্রবীর রায়কে নিয়ে তালা মাছের বাজারে যান। এ সময় আসামী মানিক বিশ্বাস, তার ভাই জগদীশ বিশ্বাস , মামা মাঝিয়াড়া গ্রামের মন্টু সরকার, বাবু সরকার তাকে ঘিরে ধরে মামলা তুলে নেয়নি কেন জানতে চায়। মামলা তোলা হবে না বলায় তাকে মারপিট করা হয়। একপর্যায়ে তালার চাঞ্চল্যকর ফাইভ মার্ডার এর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেওয়া এক সময়কার পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টির সক্রিয় সদস্য অস্ত্রধারী ক্যাডার আটারুই গ্রামের মিজানুর রহমানকে ডেকে এনে তাকে আগামি ১৫ দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে হত্যার হুমকি দেয়। এমনকি বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করলে ফল ভাল হবে না বলে জানিয়ে দেন মিজানুর রহমান ও মানিক বিশ্বাস।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মানিক বিশ্বাস বলেন, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। তবে মানিকের ভাই দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, বাজারে গণেশকে যেভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না।
তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। #