মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ আগামী ১৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে নিয়মিত আপিল বেঞ্চে আবেদন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়ছে বলে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এর আগে রবিবার (১৪ মে) সকালে আদেশটি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হয়।
স্থগিত চাওয়া বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যকারিতায় সমাজে এক ধরনের চাহিদা আছে। ভেজাল, নকল খাবার থেকে শুরু করে নানা পণ্যের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে মানুষের এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। এখন হুট করে এটা বন্ধ হওয়ায় বিপত্তি ঘটতে পারে।’
এর আগে, ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্টে। বিচারপতি আশিস রঞ্জন ও বিচারপতি মইনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ৫ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনের ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯ ও ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পদ্ধতি থেকে শুরু করে আদালত পরিচালনার ক্ষমতা আপিল সংক্রান্ত বিধান বিষয়ে উল্লেখ আছে। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের এসব ধারা মাজদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হলো।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পৃথক তিন ব্যক্তির দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত তিনটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। রিটকারী তিন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তাদের একজনের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ টাকা রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর রিট আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হলে সরকারকে আইন সংশোধন করতে হবে অথবা নতুন করে আইন তৈরি করতে হবে। তবে এই আইন মাজদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে মিল রেখে হতে হবে।’
স্থগিত চাওয়া বিষয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যকারিতায় সমাজে এক ধরনের চাহিদা আছে। ভেজাল, নকল খাবার থেকে শুরু করে নানা পণ্যের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে মানুষের এক ধরনের আস্থা তৈরি হয়েছে। এখন হুট করে এটা বন্ধ হওয়ায় বিপত্তি ঘটতে পারে।’
এর আগে, ১১ মে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্টে। বিচারপতি আশিস রঞ্জন ও বিচারপতি মইনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের ৫ ধারায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা দেওয়া আছে। আইনের ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯ ও ১০, ১১, ১২ ও ১৩ ধারায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পদ্ধতি থেকে শুরু করে আদালত পরিচালনার ক্ষমতা আপিল সংক্রান্ত বিধান বিষয়ে উল্লেখ আছে। রায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের এসব ধারা মাজদার হোসেন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই এ ধারাগুলোকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হলো।’
ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজাপ্রাপ্ত পৃথক তিন ব্যক্তির দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত তিনটি রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে তা যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। রিটকারী তিন ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেওয়া সাজা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া তাদের একজনের কাছ থেকে জরিমানা হিসেবে নেওয়া ১০ লাখ টাকা রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে সংশ্লিষ্টদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ের পর রিট আবেদনকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা যাবে না। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হলে সরকারকে আইন সংশোধন করতে হবে অথবা নতুন করে আইন তৈরি করতে হবে। তবে এই আইন মাজদার হোসেন মামলার রায়ের সঙ্গে মিল রেখে হতে হবে।’