নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে বিরোধী পূর্ণ জমি যবর দখল চেষ্টার ঘটনায় উভয়পক্ষের দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। সোমবার ভোরে সাতক্ষীরা সদরের তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহতরা হলেন, তালতলা গ্রামের নূর ইসলামের পুত্র জহিরুল ইসলাম ও মৃত. আদম আলীর পুত্র শফিউল ইসলাম।
স্থানীয়রা জানান, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে মৃত. আদম আলীর পুত্র নূর ইসলাম ও তার ভাই শফিউল ইসলামের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়। আদালত সেখানে ১৪৫ ধারা জারি করেন। কিন্তু আদালতের সে নির্দেশ আমান্য করে শফিউল সোমবার গভীর রাতে উক্ত সম্পত্তিতে থাকা টিনের বেড়া ভাঙ্গচুর ও ঘরে আগুন জ¦ালিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান ও ওসি তদন্ত বুরহান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেন। কিন্তু সোমবার ভোরে উক্ত সম্পত্তিতে শফিউল ইসলাম কাজ শুরু করলে জহিরুল বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শফিউল ইসলামের জামাত মিত্রতেতুলিয়া গ্রামের হারুন উর রশিদের পুত্র শফিকুল, তার কন্যা মনিরাসহ কয়েকজন জহিরুলকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে। সে সময় শফিউল ইসলাম পাকা বাথরুমের উপর পড়ে দাঁতে আঘাত প্রাপ্তহন বলে জানান ভূক্তভোগি জহিরুল ইসলামের মাতা জোহরা খাতুন।
তবে শফিউল ইসলামের অভিযোগ বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার ৩টি দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। যদিও লাঠি দিয়ে আঘাত করলে ঠোট বা মুখে আঘাত লাগার কথা থাকলেও সে ধরনের কোন আঘাতের চিহ্ন তার মুখে নেই বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, উক্ত সম্পত্তি নিয়ে আদালত আমাদের পক্ষে রায় দেন। সে অনুযায়ী আমরা জমি ঘিরে দখলে নেই। কিন্তু আমার চাচা ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে ভাংচুর করে। পরে সেখানে আগুন লাগিয়ে দেয় এবং সকালে উক্ত সম্পত্তিতে কাজ করতে থাকে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এদিকে শফিউল ইসলামের কন্যা মনিরা খাতুন বলেন, তাদের কোন ভাই না থাকায় পৈত্রিক সম্পত্তি তারই চাচা নূর ইসলাম এবং চাচাতো ভাই জহিরুল ১৬ ডিসেম্বর লোকজন নিয়ে তাদের সম্পত্তিতে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে। সকালে বাথরুমের হাউজের স্লীবে হাত দেওয়ার জহিরুল, তার পিতা নুর ইসলাম ও মাতা জোহরা খাতুন মিলে আমার পিতাকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দিয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুরহান উদ্দীন জানান, গতকাল রাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তিনি নিজে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উভয় পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু নির্দেশনা উপেক্ষা করে আজ সকালে উভয় পক্ষের ভিতরে মারমারির ঘটনা ঘটে। তবে এখন ও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পূর্ববর্তী পোস্ট