প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার তালায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিটের প্রতিকারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন, তালা ফলেয়া গ্রামের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার পুত্র আনারুল ইসলাম। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা রমজান আলী, আব্দুল মজিদসহ ক্ষতিগ্রস্থ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তালা উপজেলার ফলেয়া মৌজার এস এ ৮৫ নম্বর খতিয়ানের দাগ নম্বর ১১৩, জাল ১৫৬ দাগের দশমিক ১০ একর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের মৃত রেজাউল বিশ^াসের ছেলে রুবেল বিশ^াসের সাথে। একপর্যায়ে উক্ত রুবেল বিশ^াস আমার পিতার .১০ একর সম্পত্তির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে ইসলামকাটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাসাজসে চাঁদকাটি গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে এলাকার সন্ত্রাসী আব্দুর রহিমের নিকট বিক্রয় করে। বিবাদমান জমি ক্রয়ের পরপরই তারা উক্ত সম্পত্তির দখল নেওয়ার পায়তারা করলে আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ধারা জারি করেন। ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে সন্ত্রাসী আ: রহিম গাজী তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য হামিদুল গাজী, সমর আলী মোড়লের পুত্র আছাদুল মোড়ল, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের আ: রহিমের পুত্র মাহফুজ সরদার, মৃত. বাহাদুর খাঁর পুত্র রবিউল খাঁসহ ১০/১৫ জন গত ১৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে লোহার রড, শাবল, কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বসতবাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর করে। আমার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটনায় এবং স্বর্ণের চেইনসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। সে সময় আমার স্ত্রী, মাতাসহ আমাদের পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে। এঘটনায় আমার মাতা রাফিজা খাতুন বাদী হয়ে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার নং ৫, তাং- ১৬/০১/২০২১। উক্ত মামলায় ৪ নং আসামীকে আটক করলেও পরের দিন আদালত থেকে সকল আসামী জামিন গ্রহণ করেন। জামিন গ্রহণ করে বাড়ি ফিরেই আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে আবারো আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে। এতে আমার মাতা রাফিজা বেগম মারাত্মক জখম হয়। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বিশেষ করে তাদের মারপিটে আমাদের মাতা রাফিজা বেগম মারাত্মক অসুস্থ্য অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উল্লেখিত সন্ত্রাসী আ: রহিমসহ তার সহযোগিরা আমাদের খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে ওই সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিল এবং পুনরায় হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পূর্ববর্তী পোস্ট