নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের প্রথম শ্রেণির পৌর সভা সাতক্ষীরা। বিভাগীয় শহর খুলনায় পৌর সভা প্রতিষ্ঠার আগে প্রতিষ্ঠিত হলেও সাতক্ষীরা পৌরবাসীর দুঃখের শেষ নেই। এ শহরে নেই সুপেয় পানির ব্যবস্থা, নেই উন্নতমানের পানি ও বর্জ্য নিষ্কাষণের ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে চলাচলের অনুপযোগী, বছরের একটা বড় সময়জুড়ে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে জলাবদ্ধতার মধ্যে বাস করতে হয়, যানজটে নাকাল শহরবাসী, ফুটপথ দখল হয়ে আছে বছরের পর বছর। সারাদেশে যখন বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, প্রায় প্রতিটি জেলা শহরে চোখে পড়ার মত উন্নয়ন হচ্ছে তখন সাতক্ষীরা শহর পড়ে আছে অনেক পিছনে। আর রাত পোহালেই আগামিকাল রবিবার সেই সাতক্ষীরা পৌরসভা নির্বাচন। নাগরিকদের সামনে সুযোগ এসেছে আগামী ৫ বছর তাদের সাতক্ষীরা পৌর সভা পরিচালনার জন্য অপেক্ষাকৃত যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেয়ার।
এদিকে, এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জমাদী। শনিবার দুপুর ২ টা থেকে এ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর কার্যক্রম শুরু হয়। এদিকে, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নাজমুল কবির জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভায় রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টা থেকে ৯টি ওয়ার্ডের ৩৭ টি কেন্দ্রে এই প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন হবে। চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে জানান, নির্বাচনে মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের শেখ নাসেরুল হক, বিএনপির তাজকিন আহমেদ চিশতি, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসিম ফারুক খান মিঠু ও নুরুল হুদা এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের মোস্তাফিজুর রউফ। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন নারী ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩৭ টি কেন্দ্রই গুরুত্বপর্ণ। গুরুত্বপর্ণ কেন্দ্র গুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ৬ শতাধিক পুলিশ ও আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ পৌরসভায় মোট ৮৯ হাজার ২২৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৩ হাজার ৪১৮ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ৪৫ হাজার ৮০৬ জন।