রাজনীতির খবর : খুলনায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে জেলার সব রুটে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন জেলার বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা।
মহানগর বিএনপির দাবি, শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাদের মহাসমাবেশ সফল না করার জন্যই প্রশাসনের নির্দেশে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে, ধর্মঘট ছাড়াই কেনো বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো তার সুনির্দিষ্ট কারণ জানানো হয়নি সমিতির পক্ষ থেকে।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলছেন, বিএনপির মহাসমাবেশ উপলক্ষে যে কোনো ঝামেলা হতে পারে। ওই ঝামেলা এড়াতে বাস চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
‘এটা কোনো ধর্মঘট বা কর্মবিরতি নয়, বিশৃঙ্খলা এড়াতে পরিবহন চালকেরাই ওই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।’ অপরদিকে, জেলার ৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িক স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি ট্রলার পারাপারও বন্ধ রেখেছেন ট্রলার মাঝিরা।
যাত্রীবাহী পরিবহন বন্ধে অল্প সময়ের এই ঘোষণা পৌঁছায়নি যাত্রী সাধারণের কাছে। যে কারণে হঠাৎ পরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে না পারায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। নগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করে জানান, শনিবার খুলনা বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে নেতা-কর্মীদের ঢল ঠেকাতে সরকারের নির্দেশেই পরিবহন বন্ধ করা হয়েছে। সমাবেশকে পণ্ড করার জন্য এটি পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবি, জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ওই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি।