বিদেশের খবর : ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই নিয়মিতভাবে বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর চূড়ান্ত রকমের সহিংস ভূমিকায় দেখা গেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। এদিন পুলিশের গুলিতে অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছে। অভ্যুত্থানের পর এটিই একদিনে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, রবিবার দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে পুলিশ এবং সামরিক বাহিনী। প্রাপ্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্য অনুযায়ী, এদিনের অন্তত ১৮ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের একজন অ্যামি কিয়াও। পেশায় শিক্ষক কিয়াও জানান, তারা বিক্ষোভে নামামাত্র কোনও কথাবার্তা ছাড়াও গুলি চালাতে শুরু করে পুলিশ।
বিক্ষোভ দমাতে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে বড় ধরনের ধরপাকড় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বহু বিক্ষোভকারীকে আটক করা হচ্ছে। বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতেও গুলিবর্ষণ করা হচ্ছে।
রবিবার দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। স্টান গ্রেনেড ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ নিক্ষেপ করে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে ব্যর্থ হয়ে একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির প্রথম ক্যাথলিক কার্ডিনাল চার্লস মাউং বো টুইটারে লিখেছেন, “মিয়ানমার যুদ্ধক্ষেত্রের মতো হয়ে গেছে”।
এদিকে সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যে কোনও পদক্ষেপ নিতে শুক্রবার জাতিসংঘকে আহ্বান জানানোর পর বরখাস্ত হয়েছেন ওই সংস্থায় নিয়োজিত দেশটির দূত কিয়াও মোয়ে তুন। তিনি দেশটির জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদানে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এছাড়া মিয়ানমার প্রশ্নে জাতিসংঘের এক বিশেষ বৈঠকে সব সদস্য রাষ্ট্রকে অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়ে প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন তিনি।