অনলাইন ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধিতা করে বামপন্থী ছাত্রসংগঠন আয়োজিত সমাবেশে দফায় দফায় ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে অন্তত ১০ বাম ছাত্র নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
এ ছাড়া হামলায় মানবজমিনের আলোকচিত্রী জীবন আহমেদ ও দেশ রূপান্তরের রুবেল রশিদ আহত হন।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্ত্বরে মোদির প্রতীকী কুশপুতুল দাহ করার সময় এই হামলা করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর আগে মোদীর আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসির পাশে ডাসে আসলে সেখানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। প্রথম হামলায় জোটের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কুশপুত্তলিকা কেড়ে নিলে তার মোদির ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফের হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করে। তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকেন। এতে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দেশ রূপান্তরের অলোকচিত্রী রুবেল রশিদ বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমার তলপেটে বেশ কয়েকটি লাথি দেয়। তাদের হামলায় মানবজনিমের আলোকচিত্রী সাংবাদিক জীবন আহমেদও আহত হন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আল কাদেরী জয় বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছিলাম। ছাত্রলীগ অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা করে।
হামলায় ছাত্রলীগের মহানগর শাখার নেতাকর্মীরা অংশ নেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, বঙ্গবন্ধু হল ছাত্র সংসদের জিএস শান্ত, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজকে হামলায় অংশ নিতে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুশপুত্তলিকায় দেওয়া আগুন নেভাতে এলে দু’পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এরপর ছাত্রলীগ লাঠি দিয়ে কয়েকজনকে পেটায়।
এ সময়ে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগ মোদিকে স্বাগত জানিয়ে সমাবেশ করছিল। হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে মোদীর আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসির পাশে ডাসে আসলে সেখানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। প্রথম হামলায় জোটের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কুশপুত্তলিকা কেড়ে নিলে তার মোদির ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফের হামলা চালায় ছাত্রলীগ।