প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার বকচরায় দীর্ঘদিনের ভোগদখীয় সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষ কামরুজ্জামান গং কর্তৃক মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে জমির মালিকদেরকে হয়রানি অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত নজির হোসেনের ছেলে মোঃ আব্দুর রব ও বকচরা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে মোঃ আমজাদ আলী এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, বিগত ২৮ ডিসেম্বর‘১৯৮৮ তারিখে এস এ ১০৮৩ এবং ১৫০৯ নং খতিয়ানে রেকর্ডীয় মালিক ইছা খা, এবং ইউছুপ খানের মৃত্যুর পর তার ওয়ারেশ ছেলে মনিরুল, শহিদুল, কামরুল গংয়ের কাছ থেকে ৮৪১৭ নং কোবলামূলে ৪৯৭৭, ৬০৪১, ৬০৯৬, ৬০২০ ও ৬১৪৫, নং দাগে যা আপোষ মতে ৬০২০ ও ৬১৪৫ দাগের ০.৫১ একর এবং ৩ জুন ১৯৮৯ তারিখের ২১৪৭ নং কোমলা মূলে ৬০৯৬, ৬০৩৯, ৫৬৪৪ নং দাগে ০.৪৬ একর যা আপোষ মতে ৬০৯৬ দাগের ০.৪৬ একর সম্পত্তি আব্দুর রবের পিতা নজির হোসেন খরিদ করেন। পরে ১৫০৯/১ নং খতিয়ানে ২৮৬/৯০-৯১ নাম পত্তন কেসে নজির হোসেনের নামে রেকর্ড সংশোধন করেন। পরবর্তীতে আব্দুর রব এর দুই ছেলে নামে ১৬২৫/১৫-১৬ নং নামজারী কেসে ০.৬৪৬৬ একর সম্পত্তি রেকর্ড সংশোধন হয়েছে। যার হোল্ডিং নং৪৩৭৩। অন্যদিকে ১০৮৩ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক আতেরা খানমের মৃত্যুন্তে তার ছেলে আলী আকবরের মৃত্যুর পর ওয়ারেশগণের কাছ থেকে আলী দায়দার, জোহরা, মাছুরা খানম গংয়ের কাছ থেকে ৫মে ০৮ তারিখের ৩১১৭ নং রেজি: দলিল মূলে ৪৯৮৭, ৫৩০০, ৬০৯৬, ৬১৪৫, ৬৫৪১, ৬০২০, ৩৯৯৫ নং দাগের ০.৪৬ একর যা আপোষ চিহ্নিত মতে ৪৯৭৭ নং দাগের ০.৪৬ একর সম্পত্তি নজরুল ইসলাম খরিদ করেন এবং ৮৯৭/২০-২১ নং নামজারী কেসে নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন করেন।
আব্দুর রব ও আমজাদ আলী আরো বলেন, নজরুল ইসলামের কাছ থেকে গত ২১মে ১৮ তরিখের ৪১৬২ নং আমমোক্তারনামা দলিলমূলে আমজাদ হোসেন প্রাপ্ত হন। এরপর উক্ত সম্পত্তি আমাদের দখলে রয়েছে। মাঠ পর্চা, প্রিন্ট পর্চাসহ সকল কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। কিন্তু উক্ত সম্পত্তির উপর নজর পড়ে একই এলাকার মৃত. কওছার আলী মন্ডলের ছেলে কামরুজ্জামান, আসাদুজ্জামান, সাঈদুজ্জামান ও ছাত্রলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আফতাবুজ্জামান গংয়ের। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে। পরে আদালতের নির্দেশে স্থানীয় নায়েব সরেজিমেন তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদান করেন যে, কামরুজ্জামান গংরা ওই জমি ভোগদখল করেন না। এরপরও কামরুজ্জামান বিভিন্ন চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দমন করতে একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করে হয়রানি করে যাচ্ছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, কামরুজ্জামান গংরা এলাকায় একাধিক মানুষের সম্পত্তি জোরপূর্বক ভোগদখল করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মৃত মানিক গাজীর কবরস্থান দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছেন। মজিদ সরদারের সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে ভোগদখল করছেন। কামরুজ্জামান বর্তমানে বকচরা এলাকার চিহ্নিত ভূমিদখলকারী হিসেবে পরিচিত হয়েছেন। উক্ত কামরুজ্জামান গত ১৭ এপ্রিল সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূয়া তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের বিরুদ্ধে জঘণ্য মিথ্যেচার করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তারা অন্যের জমি জবরদখলকারী কামরুজ্জামান গংয়ের কবল থেকে নিজেদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি রক্ষা ও মিথ্যে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি এবং কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।