পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি আগামী আট বছরে মধ্যে আর থাকছে না। বিশ্বে তেলের ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যাবে। খুঁজে পাওয়া যাবে না পেট্রল পাম্পও!
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতিবিদ টনি সেবার এক সমীক্ষা প্রতিবেদনে এ দাবি করা হয়েছে। ‘রিথিংকিং ট্রান্সপোর্টেশন ২০২০-২০৩০’ শিরোনামে সম্প্রতি এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। আজ রোববার এনডিটিভির এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
টনি সেবার ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৮ বছরের মধ্যে ডিজেল ও পেট্রল চালিত গাড়ি আর থাকবে না। দেখা যাবে না পেট্রল পাম্পও। আগামীতে ডিজেলচালিত গাড়ির বদলে চলবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।
অর্থনীতিবিদ টনি সেবার ধারণা, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে তেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে। কেননা জীবাশ্ম জ্বালানি দিয়ে চালিত গাড়িগুলো আর উৎপাদন করা হয়তো হবে না। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির টেকসই যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনি গাড়ির খরচও কমে যাবে।
টনি সেবা বলেন, নতুন উৎপাদিত বৈদ্যুতিক যানবাহনগুলো ১৬ লাখ নয় হাজার ৩৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত চলবে। আর জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ি চলবে প্রায় তিন লাখ ২১ হাজার কিলোমিটার। তাই বিশ্বজুড়ে ২০২৫ সালের পরে সব যানবাহন হবে বিদ্যুৎচালিত। নতুন বাস, প্রাইভেটকার, ট্রাকটর, ভ্যানসহ সবকিছুই চলবে বিদ্যুৎ দিয়ে।
সমীক্ষায় বলা হয়, ‘আমরা এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে শুনেছি, যেমন নরওয়ে আগামী দশকে ইন্টারনাল কম্বাসচন ইঞ্জিন (আইসিই) থেকে সরে আসতে চাইছে। এমনকি ভারতও ২০৩২ সালের মধ্যে পেট্রল ও ডিজেলচালিত গাড়ি থেকে বের হয়ে আসতে চায়।’
ডিজিটাল ক্যামেরা বিপ্লবের উদাহরণ টেনে এই অর্থনীতিবিদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, ফটোগ্রাফির জন্য ফিল্মের ব্যবহার থেকে ডিজিটাল ক্যামেরায় খুব দ্রুতই প্রবেশ করে। ঠিক একইভাবে গাড়ির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন ঘটবে।
১৯১০ সাল থেকে চালু হয় আইসিই। কিন্তু এখন বড় ধরনের একটা পরিবর্তন আসছে। অডি, ভক্সওয়াগন, মারসিডিজ-বেঞ্জ, এমনকি ভলভোর মতো বিশ্বের গাড়ি কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে।