কলারোয়া প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক নারীকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে বিশ্রাম নেয়ার কথা বলে অন্য পুরুষ রুমে ঢুকিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ৪১ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় দুই প্রতারক আটক হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে-কলারোয়া থানাধীন শহিদুল ইসলামের ভাড়া দেয়া বাসায়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাউরিয়া গ্রামের গৃহবধূ (২৫) এর সাথে উপজেলার লোহাকুড়া গ্রামের ইমান আলী কারিগরের ছেলে নারী সাপলাইয়ার শাহাজান কারীগর ও তার স্ত্রী দেহ ব্যবসায়ী ফিরোজা খাতুনের পূর্ব পরিচিতি রয়েছে।
গত (১এপ্রিল) বেলা আড়াইটার দিকে ওই নারী ৪৪ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে সাতক্ষীরা সদর থানার ঝাউডাঙ্গা বাজারে যায়। তিনি ঝাউডাঙ্গা বাজার থেকে ৩ হাজার টাকার জামা কাপড় ক্রয় করেন। পরে ওই বাজারের শোরুমে টিভি ও ফ্রিজ পছন্দ না হওয়ায় অবশিষ্ট ৪১ হাজার টাকা নিয়ে কলারোয়া থানার সামনে মিনিষ্টার শোরুমে এসে পৌছায়। সেখানে প্রতারক দেহ ব্যবসায়ী আগে থেকেই ওই স্থানে কারর জন্য অপেক্ষা করছিলো। আমাকে দেখা মাত্রই সে জিজ্ঞাসা করে। কিসের জন্য বাজারে আসছো। আমি বলি একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ কিনব। এসময় ওই দেহ ব্যবসায়ী বলে তুই আমার সাথে আমাদের বাড়িতে চল। তোর ভাই (আমার স্বামী শাহাজাহান) কলারোয়া বাজারের টিভি ফ্রিজের একটি শোরুমের মালিকের সাথ ভাল সম্পর্ক আছে। সেখান থেকে অল্প দামে দেখে শুনে টিভি ফ্রিজ কিনে দেবে। আমি ওই দেহ ব্যবসায়ী ফিরোজার কথা শুনে সরল মনে তার সাথে তাদের ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে কৌশলে আমাকে দুপুর বেলা খাওয়ানোর কথা বলে তাদের শোয়ার ঘরের পাশের রুমে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বলে। আমি তখন তাদের মতলব বুঝতে পারিনি। ওই ঘরে বিশ্রাম নেয়ার সময় হঠাৎ অজ্ঞাতনামা একজন পুরুষ যার বয়স (৩৮) বছর হবে। আমার বিশ্রাম ঘরে প্রবেশ করে। আমি ঘরের মধ্যে ঢুকতে দেখে চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে সে আমাকে জোর পূর্বক খাটের উপর শোয়ানোর চেষ্টা করে। এসময় নারী সাপলাইয়ার শাহজান কারীগর বাহির থেকে উক্ত ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক ওই নারীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। এসময় ওই নারীর ডাক চিৎকারে বাহির থেকে কোন লোকজন শাড়াশব্দ দেয় নাই। তার সাথে অবৈধ মেলামেশার শেষে নারী সাপলাইয়ার শাহাজাহান দরজা খুলে দিতে বললে দেহ ব্যবসায়ী ফিরোজা খাতুন রুমের দরজা খুলে দেয়। এসময় ফিরোজা খাতুন ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার ব্যাগে থাকা ৪১ হাজার টাকা বের করে নেয়। ওই নারী টাকা ফেরৎ চাইলে প্রতারক ফিরোজা খাতুন বলে- এখানে যেসকল ঘটনা ঘটেছে সব কিছু আমার নিকট আতœীয় স্বজনসহ অন্যন্য মানুষের নিকট জানাইয়া দেব। এই বলে উক্ত ৪১ হাজার টাকা নিয়ে আতœসাৎ করে।
এঘটনা উল্লেখ্য করে ওই নারী বাদী হয়ে কলারোয়া থানায় শাহাজাহান কারীগর (৪২) তার স্ত্রী ফিরোজা খাতুন (৩৭) এবং কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার ঝাউদিয়া গ্রামের নুর মোহাম্মাদ @ নুরু (৩৮) কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সহ মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে একটি মামলা নং-০৪(৫)২১ দায়ের করেন। থানায় মামলা হওয়ার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার লোহাকুড়া গ্রামের ইমান আলী কারীগরের ছেলে নারী সাপলাইয়ার শাহাজান কারীগর ও তার স্ত্রীদেহ ব্যবসায়ী ফিরোজা খাতুনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।