আসাদুজ্জামান : জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শিরিনা বেগম নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার রাত ৯টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার কুশুলিয়া কাজীপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাজী মুকুল হোসেন বাদী হয়ে সোমবার বিকালে ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে এ মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুশলিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা খাতুন (৩৫) ও মহিউদ্দিন কাজীর স্ত্রী রওশানারা। নিহত শিরিনা বেগম ওই গ্রামের কাজী সাদিকুল ইসলামের স্ত্রী।
নিহতের ছেলে কুশুলিয়া গ্রামের কাজী মুকুল হোসেন জানান, এক দশমিক ৭০ শতক জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতিবেশী ওয়াদুদ কাজীর ছেলেদের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাত ১১টার দিকে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ওয়াদুদ কাজীর ছেলে এতিম কাজী, লালন কাজী, আব্দুস সালাম ও মনিরুল ইসলামসহ কয়েকজন তার মা শিরিনা বেগমকে (৪৫) লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। মাকে রক্ষা করতে গেলে তিনিসহ কয়েকজন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার মাকে রাতেই কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় রোববার সকালে তার মাকে তারা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা এক পর্যায়ে করোনা পরিস্থিতির কারনে তার মাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দেবহাটার সখিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নিহতের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেলে রাতে পুলিশ মরদেহাট থানায় নিয়ে যান। তিনি আরো জানান, তার মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের কালো চিহ্ন রয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শিরিনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কাজী মুকুল হোসেন বাদী ১১ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ইতিমধ্যে এ মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।