গত আট বছর ধরে সারাদেশে মোট সতের হাজার ছয়’শ পনেরটি পদে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক পদ শূন্য আছে। এরমধ্যে খুব শীঘ্রই ষোল হাজার শূন্য পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাথে মতবিনিময় ও শিক্ষক পদোন্নতি অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পিএসসির নির্দিষ্ট কোটার বাহিরে ৬৫ শতাংশ শূন্যপদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা জেলার ৮৭ জন সহকারী শিক্ষককে পদোন্নতি দেয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠতার নির্ধারণের বিষয়ে উচ্চ আদালতে মামলা থাকায় গত আট বছর ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দেয়া সম্ভব হয়নি। এমনকি শূণ্য পদের ৩৫ শতাংশ পিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগের কথা থাকলেও হয়েছে ১২ শতাংশের কম। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতে ব্যাহত হয়েছে। তাই শিক্ষার মানোন্নয়ন ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা সহ সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে খুব কম সময়ের মধ্যে ষোল হাজার শূণ্যপদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পদোন্নতির জন্য পিএসসিতে যে তালিকা দেয়া হয়েছে তাদের অনেকের চাকুরিই শেষ হয়ে যাচ্ছে। একারণে আমরা দ্রুততম সময়ের মাঝে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি দিবো। আলোচনা করার পর অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের নিয়োগ সহায়তায় আশ্বস্ত করেছেন। উচ্চ আদালতে মামলা ও শিক্ষকদের মাঝে রেশারেশির কারনে এসব শূণ্যপদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান মন্ত্রী।