অনলাইন ডেস্ক : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যায় জড়িত এবং আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া চার আত্মস্বীকৃত খুনির বীর মুক্তিযোদ্ধা খেতাব বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
রোববার (৬ জুন) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রথীন্দ্র নাথ দত্তের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
খেতাব হারানো এই চার জন হলেন: লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম গেজেট নং- ২৫), লে. কর্নেল এস এইচ এম এইচ এম বি নুর চৌধুরী (বীর বিক্রম গেজেট নং-৯০), লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক গেজেট নং-২৬৭) ও নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক গেজেট নং-৩২৯)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ অন্যান্য শহিদদের হত্যা মামলায় আত্মস্বীকৃত ও আদালত কর্তৃক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ঘৃণ্য এই চার খুনির মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বসূচক খেতাব থাকা জাতির জন্য লজ্জাজনক। সেজন্য এ গেজেট বাতিল করা হয়েছে।’
চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এই চার খুনির খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
খেতাব বাতিল হওয়ায় তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আর কোনো রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা পাবেন না।
এর আগে বুধবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব ও পদক বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করলে আপনারা পাবেন। এর আগে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত চার খুনির রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেওয়া হয়। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’, নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন জিয়াউর রহমান।