নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সংখ্যালঘুর দোহাই দিয়ে ক্রয়কৃত সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের উদ্দেশ্যে মারপিট, খুন জখম ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির উঠেছে। শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সম্মেলন সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন শ্যামনগরের ডুমুুরিয়া গাবুরা গ্রামের জহুরুল ইসলামের কন্যা হোসনেয়ারা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমার পিতার বাড়ি গাবুরা ইউনিয়নে হওয়ায় প্রতিবছর নদীভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারনে সেখানে বসবাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যে কারনে ২০১৩ সালে আমার পিতা আমার শ^শুরবাড়ি কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধরকাটি মৌজায়, জে এল ২২৮, এস এ ১৩ নং খতিয়ানে মৃত. সুধাংশু ঘোষের পুত্র কার্ত্তিক ও কমলেশের কাছ থেকে ২২ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন।
এরপর থেকে আমার পিতা উক্ত সম্পত্তি চাষাবাদ করে ভোগদখল করে আসছিল। গত রমজান মাসে উক্ত সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ শুরু করলে একই এলাকার মৃত হরিদাস ঘোষের পুত্র সুবোল ঘোষ, শংকর ঘোষ, বিশ^জিৎ ঘোষ গং বাধা সৃষ্টি করে এবং সেখানে তাদের সম্পত্তি রয়েছে মর্মে দাবি করে বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করাসহ নানানভাবে হয়রানি শুরু করে। এনিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে একাধিকবার বসাবসি হলেও কোন সমাধান হয়নি। এমনকি কালিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ উভয়পক্ষকে নিয়ে বসাবসি করে। সে সময় পুলিশ শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্ব স্ব দখল বজায় রেখে ভোগদখলের নির্দেশ দেন। কিন্তু তারা থানা পুলিশের সে নির্দেশকে অমান্য করে গত ২৩ আগস্ট ২০২১ তারিখ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উল্লেখিত সুবোল ঘোষ, শংকর ঘোষ, বিশ^জিৎ ঘোষ, সুবোল ঘোষের পুত্র সমিরন ঘোষ, সুবোল ঘোষের স্ত্রী তপতী ঘোষ, শংকর ঘোষের স্ত্রী অঞ্জলী ঘোষ, বিশ^জিৎ ঘোষের স্ত্রী রিক্তা ঘোষসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী সম্পত্তিতে প্রবেশ করে ধান রোপন করতে থাকে। সেসময় আমার স্বামীসহ পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা ধারালো দা দিয়ে আমার মাথায় কুপিয়ে হত্যার চেস্টা করে। এতে আমি মারাত্মক আহত হই। এছাড়া পরনের কাপড় চোপর ছিড়ে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। এঘটনায় আমার পিতা বাদী হয়ে কালিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২৫, তাং- ২৪/০৮/২১।
তিনি আরো বলেন মামলা দায়েরের ঘটনায় তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এমনকি সংখ্যালঘুর দোহায় দিয়ে আমাদের হয়রানির চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আমার পিতা নদী ভাঙ্গন কবলিত গাবুরা থেকে এখানে এসে শান্তিতে বসবাসের চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অবৈধভাবে উক্ত সম্পত্তি দখল পূর্বক তাকে পথে বসানোর উদ্দেশ্যে গভীর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি ওই সংখ্যালঘু নামধারী পর সম্পদলোভী সুবোল গংয়ের কবল থেকে আমার পিতার ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষা এবং জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।