আসাদুজ্জামান : দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই সাতক্ষীরার তালা ও কলারোয়া উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে টানা বর্ষণের মধ্যে ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বৃষ্টির কারণে ভোট কেন্দ্রগুলোতে সকালে কিছুটা ফাঁকা দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিততি বাড়ছে।
তালা উপজেলার ১১টি ও কলারোয়া উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নে সকাল ৮ থেকে ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে। যা চলবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এদিকে, তালার জালালপুর ইউনিয়নের ১ নং মক্তব কেন্দ্রের পাশে বোমা বিস্ফোরণ করে কেন্দ্র দখলে নেয়ার জন্য আতংক সৃষ্টির চেষ্টা করে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা- এমন অভিযোগ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিদুল হক লিটু। তিনি জানান, সেখানে পুলিশ সদস্যরা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে, রাতে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও একজন ইউপি সদস্য প্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জেলা নির্বাচন অফিসার নাজমুল কবির জানান, কলারোয়া ও তালা উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে তালায় ৩ টি ও কলারোয়ায় একটিতে ইভিএমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই উপজেলায় ৮১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৬০ জন নারী ও সাধারণ সদস্য পদে ৮৩৭ জন প্রার্থী প্রতিদন্দ্ব্বিতা করছেন।
সাতক্ষীরার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, তালা উপজেলার সদর, জালালপুর ও খলিলনগর ইউনিয়ন এবং কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি ও হেলাতলা ইউনিয়নকে ঝুকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে, ঝুকিপর্ণ কেন্দ্র গুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, এই দুই উপজেলায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ২৩ জন নির্বাহি মাজিস্ট্রেটসহ ১ হাজার ১০২ জন পুলিশ, ১০০ জন বিজিবি, ৩ হাজার ৩১৫ জন আনসার সদস্য, র্যাবের ৬ টি টিম নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই দুই উপজেলায় মোট ৩ লাখ ৭৫ হাজার ২৯৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৮৮ হাজার ২৪৪ জন ও নারী ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০ জন।