ভিন্ন স্বাদের সংবাদ : তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মহত্যা বাড়ছে— এই সত্য হৃদয়ঙ্গেমের জন্য কোনও পরিসংখ্যানের প্রয়োজন পড়ে না। চোখ-কান খোলা রাখলেই আত্মহত্যার খবর আমাদের কাছে ঝাঁপিয়ে আসে। মনোবিদদের বক্তব্য, তরুণদের এই আত্মহননের ইচ্ছা যেমন লেখাপড়া-জনিত স্ট্রেস থেকে জাত, তেমনই এর পিছনে থাকছে ব্যর্থ প্রেম, বাড়ির অতিরিক্ত শাসন ইত্যাদিও আত্মহত্যাপ্রবণতাকে সম্ভব করে তোলে।
কেবল তরুণরা নয়, বিবাহিত নারী-পুরুষ, অবসাদগ্রস্ত প্রৌঢ়, কে না আত্মহননকে বেছে নেন! আর আত্মহত্যার যে যে রাস্তা খোলা রয়েছে, তার মধ্যে জনপ্রিয়তম হল সিলিং ফ্যানে গলায় দড়ি। কাউন্সেলিংয়ে কাজ না হলে সহায়তা নিতে হবে প্রযুক্তির, অনেকটা এমন কথাই বলছেন ক্রম্পটন গ্রিভস কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার শরদ আশানি। এই মুহূর্তে শরদ সংবাদ শিরোনামে। কারণ, তিনি ‘আত্মহত্যারোধক সিলিং ফ্যান’ আবিষ্কার করেছেন।
খেলা গম্ভীর, আত্মহত্যাকামী ব্যক্তি দড়ি, শাড়ি, ওড়না— যা খুশি সিলিং পাখায় বেঁধে ঝুলে পড়ুন না কেন, শরদের ডিজাইন করা পাখায় তাঁর অভিষ্টসিদ্ধি ঘটবে না। পাখাই বাধা দেবে আত্মহত্যায়। এই পাখার আসল কারিগরি লুকিয়ে রয়েছে এর রডে। পাথায় কোনও ভারী জিনিস ঝোলানোর চেষ্টা করলেই এর রড থেকে বেরিয়ে আসবে একটা স্ট্রিং। সেটা পাখাকে নামিয়ে দেবে নীচে। ফলে ‘ঝুলে পড়া’ নামক ঘটনাটি আর ঘটবে না। এই প্রযুক্তি সিলিং পাখায় ফিট করতে খরচাও যৎসামান্য। মাত্র ২৫০ টাকা। সাধারণ পাখার রডটি শরদের ডিজাইন করা রড দিয়ে বদলে দিলেই ব্যস্!
ভারতের রাজস্থানের কোটায় ছাত্রদের আত্মহত্যা রুখতে এই পাখা ব্যবহারের কথা উঠে এসেছে হস্টেলগুলির কর্তৃপক্ষের তরফে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু হস্টেলে এমন পাখা লাগানো হয়েছে বলে জানিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। প্রসঙ্গত, গত ৬ বছরে কোটায় ৬০জন ছাত্রের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: এবেলা।
পূর্ববর্তী পোস্ট