নিজস্ব প্রতিনিধি :
মাত্র এক লক্ষ টাকায় বাঁচতে পারে জীবন যুদ্ধে হার নাম মানা বেষ্ট্র ক্যানসারে আক্রান্ত চম্পার জীবন। সমাজের আর পাঁচ জন মানুষের মত স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিল চম্পা(৩২)। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে অসহায় ভেন চালক বাবার একমাত্র এই মেয়েটির শরীরে তলে তলে বাসা বেধেছে মরনব্যধি ক্যানসার। যখন বুঝতে পেরেছে তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে।
এক মাত্র অবুজ শিশু কন্যা নুসরাত জাহান খুশির(৮) জন্য হলেও বাঁচতে চায় এই মা। অবুজ শিশু খুশি (৮) শুধু ফেলফেলিয়ে তাকানো ছাড়া যেন কিছুই বোঝে না। তার মায়ের কি হয়েছে কেন হয়েছে, এখন কি করতে হবে এমন বাস্তবতাবাদী প্রশ্নগুলো তার কাছে এখনও অপরিষ্কার। তবে চোখের কোনে দিনের বেশির ভাগ সময়ে উকি দেয় অজানা ভয়ে বের হওয়া মুক্তা দানার মত অশ্রু।
মানুষের মুখে শুনেছে এই রোগ হলে নাকি মানুষ বাঁচে না। তাই মাকে বাঁচানোর অব্যক্ত আকুতি নিয়ে হজির প্রতিবেদকের সামনে। শিশুটির কথায় প্রতিবেদকের চোখেও মনের অজান্তে দেখা দেয় অশ্রু নামক পানি। চম্পা(৩২) সাতক্ষীরা সদরের রসুলপুর এলাকার হেদায়েত আলির এক মাত্র কন্যা। তার স্বামী হাবিবুর রহমান সামান্য বেতনে একটি বেসকরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। মরণব্যধি ব্রেষ্ট ক্যা¯œারে আক্রান্ত নিজের স্ত্রীকে চিকিৎসা করা তার পক্ষে একেবারে অসম্ভব বললেও ভুল হবে না।
নিজের শেষ সহায় সম্বল গুলো বিক্রি করে ও মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ইতিপূর্বে তার স্ত্রীর চিকিৎসা করিয়ে এখন নিঃস্ব সে।
অপারেশন করিয়ে ইতিমধ্যে রোগীর বাম স্তন কেঁটে বাদ দেয়া হয়েছে। দেয় লেগেছিল ৬ টা কেম খেরাপি। যার প্রতিটার মূল্য ছিল ৩০০০০ টাকা। ধার দেনা করে, মানুষের কাছে চেয়ে সে যাত্রায় পার হলেও আবার অসুস্থ হতে শুরু করেছে চম্পা। লাঞ্চে জমছে পানি, হাত পা ফের ফুলতে শুরু করেছে, হাঁটা চলা বন্ধ, পড়ে গেছে মাথার সকল চুল। ডাক্তারের পরামর্শ, দিতে হবে এখনও অন্তত ৪ টা কেম থেরাপি। যার প্রত্যেকটার মূল্য প্রায় ৩৩০০০ হাজার টাকা। তবে ভেন চালক বাবা ও তার স্বামীর পক্ষে এই টাকা যোগাড় করা একেবারে অসম্ভব। এ অবস্থায় বাঁচার তাগিদে সমাজের মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছে সে। বর্তমানে খুলনা হাসপাতালের ডাক্তার চিকিৎসাধিন সে। সমাজের বিত্তবানরা যদি একটু এগিয়ে আসে তবে বেঁচে যেতে পারে একটি মা।
অবুজ শিশু খুশি(৮) ফিরে পাবে তার জীবনের খুশি। চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য সরাসরি অথবা তাদের ব্যবহৃত বিকাশ নম্বার ০১৭১০১২১৫৪৫ যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।