স্পোর্টস ডেস্ক: পরাজয় দিয়েই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু হয়েছে বাংলাদেশের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সব হিসাব-নিকেশ বদলে গেলো ম্যাচ শেষে। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে।
সকালে লর্ডসের ওভালে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে তামিম-মুশফিকের নান্দকীয় ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের পথে এগুতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ৭৯ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকও। দুইজনের রেকর্ড জুটিতে ৩০৫ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ তবে ম্যাচের আগে খালেদ মাহমুদ সুজন দলকে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন।
মুশফিক-তামিমের ব্যাটিংয়ে এক সময় ৩৩০-৩৪০ করবে বলে মনে হলেও টানা দুই বলে দুই ব্যাটসম্যানের আউটে বদলে যায় ম্যাচের পরিস্থিতি। বরাবরের মতো ২০-৩০ রান কম করে বাংলাদেশ। আর শেষের দিকে রানের গতি ধীর গতি হওয়াকেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা।
“৩০৫ সাধারণত খুবই ভালো সংগ্রহ তবে এই পিচের জন্য এই রান যথেষ্ট ছিল না। রুট খুবই ভালো ব্যাটিং করেছে। তামিম-মুশফিকও অসাধারণ ব্যাটিং করেছে। তবে আমার মতে শেষের দিকে রানের গতি কমে যাওয়াতে ২০-৩০ রান কম হয়েছে আমাদের এবং সেটিই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।”
“বোলারদের জন্য দিনটা ভালো ছিল না। মুস্তাফিজ, রুবেলও নিজেদের সেরাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে সাকিবও নিজের সেরাটা দিতে পারেনি। সবমিলিয়ে বোলারদের জন্য বাজে দিন ছিল এটি, এবং একজন বোলারের ঘাটতি ছিল মনে হচ্ছে। আগামী ম্যাচে অতিরিক্ত বোলার খেলানোর ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করা হতে পারে।”
ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান তখনও ক্রিজে সেট হননি। মাশরাফির ওভারে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নেন তামিম ইকবাল। তবে পরবর্তীতে রিপ্লেই তে দেখানো হয়েছে বল মাটির সঙ্গে স্পর্শ করেছে। কিন্তু নিজের ক্যাচ নিয়ে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তামিম ইকবাল। তবে থার্ড-অ্যাম্পায়ার নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন।
এই ব্যাপারে মাশরাফিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আসলে সেটা আমিও ঠিকভাবে লক্ষ্য করিনি। ঐটা থার্ড-আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ছিল এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই শেষ সিদ্ধান্ত।”