আসাদুজ্জামান ঃ ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সাতক্ষীরায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে, বড় ধরণের আঘাতের কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। এদিকে, প্রাকৃতিক দূর্যোগের খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকায়।
বিশেষ করে জরাজীর্ন বেঁড়িবাধ নিয়ে তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ সংস্কারে স্থানীয়রা বালির বস্তা, বাঁশ ও খুটি দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেঁড়িবাধ রক্ষায় কাজ করছেন। উপকুলীয় এলাকা আশাশুনি ও শ্যামনগরের নদ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই দিনের টানা বর্ষনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো।
সাতক্ষীরার আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তি হারিয়ে বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে রবিবার থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্র বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। সকাল ৯ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জাওয়াদের প্রভাবে উপকুলীয় এলকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ অবস্থায় জেলেদের নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, যে কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগের খবর এলেই সাতক্ষীরার উপকূল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রতি বছরই দূর্যোগের কবলে পড়ে সর্বশান্ত উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা। জরাজীর্ন বেঁড়িবাধ নিয়ে তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। ইতিমধ্যে জরাজীর্ণ বেঁড়িবাধ সংস্কারে স্থানীয়রা বালির বস্তা, বাঁশ ও খুটি দিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বেঁড়িবাধ রক্ষায় কাজ করছেন।##