আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লন্ডন ব্রিজে লোকজনের ওপর একটি সাদা গাড়ি তুলে দেওয়া ছাড়াও সন্ত্রাসীদের একাধিক স্থানে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অন্তত ৬ জন মারা গেছে। পুলিশের পাল্টা গুলিতে সন্ত্রাসীদের ৩ জন মারা যায়। পুলিশ সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালালে তাদের ৩ জন মারা যায় ও ২ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। প্রথমে লন্ডন ব্রিজে একটি সাদা গাড়ি নিয়ে এক সন্ত্রাসী বেশ কয়েকজন পথচারীকে আঘাত করে। এসব ঘটনায় আহত অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা লন্ডনের ৫টি স্থানে হামলা চালায়। তাদের হাতে ১২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি ছিল। আরেক সন্ত্রাসী ঘন্টায় ৫০ মাইল গতিতে লন্ডন ব্রিজে ফুটপাতের ওপর উঠে লোকজনকে চাপা দেয়। ঘটনার সময় বিবিসির সাংবাদিক হলি জোন্স লন্ডন ব্রিজে ছিলেন। তিনি বলেন, একজন পুরুষ ‘ঘণ্টায় প্রায় ৫০ কিলোমিটার গতিতে’ গাড়িটি চালাচ্ছিল।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে লন্ডনে এসব হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছেন। বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনকে সবধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহ জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, লন্ডন ব্রিজ ও বোরা মার্কেটের কাছে এ দুটি হামলা ঘটে। হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা গুরুতর আহত হন। হামলার পরপরই লন্ডন ব্রিজ রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। লন্ডন ব্রিজ চলাচলের জন্যে বন্ধ করার কথা জানায় ট্রান্সপোর্ট পুলিশ। ভক্সহলের কাছে আরেকটি ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটলেও তবে তা সন্ত্রাসী ঘটনা নয় বলে জানায় পুলিশ। ঘটনাস্থলের আশে পাশে ব্যাপক তল্লাশী শুরু করে পুলিশ।