রাজনীতির খবর: নারীর প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ, অশালীন ও অবমাননাকর বক্তব্যের জেরে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ)।
অনেক কানাডিয়ান নাগরিক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় সিবিএসএ মুরাদকে দেশটিতে প্রবেশ করতে দেয়নি বলে টরেন্টোর কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক ও নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে।
টরেন্টো ভিত্তিক দুটি বাংলা নিউজ পোর্টাল নতুন দেশ ও দ্য বেঙ্গল টাইমস জানায়, মুরাদ হাসান শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন। কানাডার টরেন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দরে পৌঁছালে সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
দুটি পোর্টালই অবশ্য জানিয়েছে যে, সিবিএসএ এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।
লুটেরা বিরোধী মঞ্চ কানাডার সংগঠক মঞ্জুরে খোদা তরিক বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছিলাম যে টরেন্টো সময় দুপুর দেড়টার দিকে তাকে (মুরাদ) কানাডায় প্রবেশে করতে দেওয়া হয়নি। তাকে দুবাইতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’
তিনি জানান, বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কাছে তিনি এক ইমেইলে জানিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ “বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ফৌজদারি অভিযোগ নিয়ে কানাডায় আসছেন। তিনি বাংলাদেশের কয়েকজন নারীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর, বিদ্বেষপূর্ণ ও অশ্লীল মন্তব্য করেছেন এবং তিনি একজন অভিনেত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন।”
ইমেইলে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন এবং পদত্যাগের পর তিনি কানাডায় আসছেন। আমরা বিশ্বাস করি, কানাডা সম্ভাব্য ধর্ষক এবং অপরাধীদের জন্য জায়গা হওয়া উচিত নয়। তিনি সরকারি অফিসিয়াল পাসপোর্ট নিয়ে ভ্রমণ করছেন, তবে তিনি একবার প্রবেশের পর কানাডা ছেড়ে নাও যেতে পারেন।’
টরেন্টোতে থাকা বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন সিবিএসএ-তে একই কারণ উল্লেখ করে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে অন্তত ১৭০টি অভিযোগ করা হয়েছে।