কেএম রেজাউল করিম : পারুলিয়ার সাপমারা খননে একশ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল বাধার সম্মূখিন করছে বলে অভিযোগ তুলেছে কর্মসূচির কর্মীরা। ইছামতি নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া খালটি পারুলিয়া ও সখিপুর ইউনিয়নের সীমানা বেয়ে আশাশুনি উপজেলায় যেয়ে মিলিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার প্রধান মৃত খালগুলো বাংলাদেশ সরকার উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে পুনখনেনর মাধ্যমে উৎজিবিত করতে নানমূখি কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তারই লক্ষ্যে পারুলিয়ার সাপমারা খাল খনন করা হচ্ছে। কিন্তু খনন কালে খালের পাড় দখল করে অবৈধ্য স্থাপনা গড়ে তোলায় কাজ করতে বাধার সম্মূখিন হতে হচ্ছে। এমনকি অনেক স্বার্থন্বেষী মহল বলপ্রয়োগ করে সরকারি কাজের বিঘন্ন ঘটাচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়াগেছে। রবিবার সকালে সাপমারা খাল খনন পরিদর্শনে আসেন পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নির্দেশনা ৬০ ফুট খাল খনন এবং উভয় পাশে দশ ফুট করে ২০ ফুট রাস্তা নির্মান করতে হবে। সেই অনুযায়ী ৩৪৬ জন কর্মী কাজ করছে। কিন্তু খালটি পারুলিয়া ইউনিয়ন দিয়ে বয়ে চলায় অপর পাশে সখিপুর ইউনিয়ন ও পারুলিয়ার কিছু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য অবৈধ্য ভাবে খালের জমি দখল করে স্থাপনা গড়ে তুলেছে। আমি কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন করে স্থাপনা গ্রামপুলিশের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলে দিয়েছি। তবে যদি সরকারি ভাবে উদ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন তাহলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কর্মসূচির কাজ সম্পন্ন হবে। এদিকে খালটি খনন হলে সখিপুরের আংশিক, পারুলিয়া, খেজুরবাড়িয়া, ঘড়িয়াডাঙ্গা, গড়িয়াডাঙ্গাসহ অসংখ্য গ্রামের মানুষের কল্যাণ বয়ে আনবে। সেই সাথে এসব এলাকার মৎস্য ও কৃষিতে ব্যপক ভূমিকা রাখবে মনে করেন স্থানীয়রা। তাই সাপমারা খালটি যাতে সঠিক ভাবে সময়ের মধ্যে খনন সম্পন্ন করা যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কামনা করেছেন সকলে।