নিজস্ব প্রতিনিধি: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং স্থানীয় পর্যায়ে অভিযোজন পরিকল্পনা শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাতক্ষীরায় সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের টাইগার প্লাস কনফারেন্স রুমে “লোকাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাকশন (ল্যাপা) ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য পটুয়াখালী এবং সাতক্ষীরা ডিস্ট্রিক্টস” প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে উন্নয়ন সংস্থা উত্তরণ । এতে আর্থিক সহায়তা করে ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি (আইআরসি)।
উত্তরণের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট মনির উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং প্রকল্প প্রধান হাসান আব্দুল্লাহ রাফাতের পরিচালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ পাল, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দাস, সমাজসেবা অফিসার প্রবীর রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাহিনুর রহমান, জনস্বাস্থ্যের আলী হোসেন , জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎস্না দত্ত, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, এম বেলাল হোসাইন, আসাদুজ্জামান সরদার, এস এম বিপ্লব হোসেন, আবু সাঈদ, জেলা বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ কমিটির মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার পানি, কৃষি, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। এই সংকট মোকাবিলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)-এর পাশাপাশি স্থানীয় বাস্তবতা অনুযায়ী কার্যকর অভিযোজন পরিকল্পনা (ল্যাপা) গ্রহণ অপরিহার্য।
বক্তারা আরও বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি স্থানীয় জনগণ ও বেসরকারি সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। কর্মশালার সুপারিশসমূহ স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।”
তথ্য উপস্থাপনায় জানানো হয়, বাংলাদেশ সরকার ২০২২ সালে ন্যাপ অনুমোদন করেছে, যার বাস্তবায়নকাল ২০২৩ থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত। স্থানীয় জনগণের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খুঁজতেই ল্যাপা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা খাবার পানির সংকট, কৃষিজমিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং অবকাঠামোগত দুর্বলতাকে প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তারা এসব সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই পরিকল্পনার ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের মাধ্যমে ধারাবাহিক আলোচনা, কর্মশালা এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের সম্পৃক্ততায় সাতক্ষীরার জন্য একটি চূড়ান্ত স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। পরবর্তীতে তা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তির জন্য উপস্থাপন করা হবে।
ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন প্রকল্প সমন্বয়ক আল আমিন মোল্লা।