ডি. এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন : দিনভর টানা বৃষ্টির কারনে সুন্দরবন উপকূলীয় শ্যামনগরের কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সমস্ত নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। খাল বিল পুকুর,নদী-নালা পানিতে ডুবে একাকার। অব্যাহত বৃষ্টির কারনে সুন্দরবন সংশ্লিষ্ট নদী গুলোতে ব্যাপক পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারনে জোয়ারের ঢেউয়ের তোড়ে ঝুকিপুর্ন কাশিমাড়ীর পাউবোর বাধগুলো যে কোন মুহর্তে ভেঙ্গে যেতে পারে।
শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ী এবং আটুলিয়া ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঘোলার খেয়াঘাট। প্রায় প্রতিদিন এই দুটি ইউনিয়ন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী আরও কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই পথে যাতায়াত করে। তাছাড়া জেলা শহর সাতক্ষীরাতে এই পথে ঘোলার খেয়া পার হয়ে খুব অল্প সময়ে নির্বিঘ্নে জনসাধারন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু এই বর্ষা মৌসুমে ঝাপালী তিন রাস্তার মুখ হইতে ঘোলা খেয়াঘাট পর্যন্ত ওয়াবদার রাস্তাটি বর্তমানে ভয়াবহ ভাঙনের মুখে অবস্থান করছে। পায় ৩ কি.মি. রাস্তার ভিতরে অর্ধেকেরও বেশী অংশ ভাঙনের মুখে, কোথাও কোথাও ১ থেকে ২ হাত রাস্তা অবশিষ্ট চওড়া আছে। বাকী অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এখান দিয়ে গাড়ী চলাচল করাতো দুরের কথা পায়ে হেটে যেতেও ভয় লাগে। কাশিমাড়ীর পাউবোর বেড়ীবাধে ব্যাপক ধ্বস নেমেছে। যে কোন সময় বেড়ীবাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে নদীর পানি ঢুকতে পারে। দূর্যোগপুর্ন আবহাওয়া বিরাজ করায়, ও টানা সারা দিনের প্রবল বর্ষনে দুর্বল পাউবোর বেড়ীবাঁধের ফাঁটল ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। এছাড়া ফাঁটল স্থানে জোয়ারে প্রবল ঢেউয়ের তোড়ে ফাঁটল টি প্রতিনিয়ত ভয়াবহ আকার ধারন করছে। আর এ কারনে কাশিমাড়ীর ঝাপালী পাউবোর বেড়ীবাঁধের যে কোন স্থান ভেঙ্গে যেতে পারে। ঝুকিপুর্ন কাশিমাড়ী ইউনিয়নের সাধারন মানুষ বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন আতংকের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এক্ষুনে সেখানে এই ওয়াবদার ভেড়ীবাঁধের ভাঙন রক্ষা না করা গেলে অতীতের ন্যায় সেখানে ভেঙে আবারও বিস্তৃর্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। বর্তমানে এই এলাকায় অনেকগুলো ছোট বড় মৎস্য ঘের এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার অনেক ধানী জমিও প্লাবিত হয়ে নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। সেই কারনে এলাকা বাসী এই ওয়াবদা সংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে যে, যথাযথ কর্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করে যাতে এই বৃহৎ এলাকার জনসাধারনকে আবারও ভাঙনে প্লাবিত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা যায়।