নিজস্ব প্রতিনিধি :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সাতক্ষীরা সিটি কলেজের নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠন করার জন্য কলেজের নোটিশ বোর্ডে কোন তফসিল না টানিয়ে এবং স্থানীয় পত্রিকায় কোন তফসিল ঘোষণা না করে অধ্যক্ষ আবু সাঈদ নিজের পছন্দের শিক্ষক প্রতিনিধি, অভিভাবক সদস্য,দাতা সদস্য,হিতৈষী সদস্য,প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বিনা ভোটে মনোনীত করে একতরফাভাবে নিয়মিত গভর্নিং বডি গঠন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ সূত্রে জানা গেছে।
কলেজের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষকরা জানান, ইতোপূর্বে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে দুদক ঢাকা অফিস থেকে একাধিকবার তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে। যে কোন সময় দুদক কর্মকর্তার তদন্ত রিপোর্ট প্রতিবেদন প্রকাশ করবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে।
যেখানে খুলনা বিভাগের সর্ববৃহৎ সাতক্ষীরা সিটি কলেজ এর কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম,নথিপত্র জালিয়াতি করে ভূয়া শিক্ষক নিয়োগ ও এমপিওভুক্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উঠে এসেছে বলে কলেজের শিক্ষকরা অবগত হয়েছেন।
এছাড়া সাতক্ষীরা সিটি কলেজে বিনা ভোটে অধ্যক্ষ আবু সাঈদের হাতে পুনরায় নিয়মিত গভর্নিং বডি তুলে দিলে কলেজের সকল একাডেমিক কার্যক্রম ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করেন কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীসহ এলাকাবাসী।
এদিকে ইসলামী ব্যাংক ও আল আরাফা ব্যাংক থেকে কলেজের গচ্ছিত তহবিল হতে কোটি টাকার অধিক এই অধ্যক্ষ আবু সাঈদ এবং ডেসটিনির সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি কলেজের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম আত্মসাৎ করেন। যা দুদক তদন্ত করে যাচ্ছে।
শিক্ষকরা আরো জানান, সাতক্ষীরা সিটি কলেজে কখনো অভ্যন্তরীণ অডিট হয় না। কোন শিক্ষক অভিভাবক বা এলাকাবাসী দুর্নীতি নিয়ে কথা বললে তাদের মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে ভয় দেখানো হয়।
যে কারণে আমরা অত্র কলেজের সাধারণ শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ এবং এলাকাবাসী নিয়মতান্ত্রিকভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক গভর্নিং বডির কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ ইন্সপেক্টর কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষের নিকট নির্বাচনের ভোটার তালিকা চাইলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কারণ অধ্যক্ষ সাহেব এই ভোটার তালিকাও সম্পন্ন করতে পারেনি। সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ এমনও ঘোষণা দেন যে প্রয়োাজনে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করবে কমিটি গঠনের জন্য ।
যেহেতু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ,সেহেতু আপনারাই পারেন অধ্যক্ষের এই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে। একই সাথে অধ্যাক্ষ সাহেব নথিপত্র জালিয়াতি করে নিয়মিত গভর্নিং বডির কমিটি গঠন করতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও এলাকাবাসী।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। বড় কলেজ হওয়ার কারনে এখানে সব সময় একটি অপজেশন গ্রুপ রয়েছে। যারা এ অপপ্রচার চালায়। দুদকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন শিক্ষক দুদকে অভিযোগ করেছিল। সেটি তদন্তাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে সেই শিক্ষক আশাশুনি কলেজে চলেও গেছেন।