কলারোয়া প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরা কলারোয়ার ৮নং কেরেলকাতা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড কিসমত ইলিশপুরে সাধারণ ইউপি সদস্য পদের ভোট গননায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় নির্বাচন কমিশনের নিকট এ ওয়ার্ডের ভোট গনগনার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করছে এলাকাবাসী৷
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকাল ৩ টার দিকে কেরেলকাতা ইউনিয়নের মিস্ত্রি মোড় এলাকায় স্থানীয় ১নং ওয়ার্ড কিসমত-ইলিশপুরের বাসিন্দা আহসান হাবীবের নেতৃত্বে যশোর সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই ধারে দাঠিয়ে বিভিন্ন প্লাকার্ড ও ব্যানারে লেখা ‘ কেরালকাতা ইউনিয়নের কে.কে.ই.পি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের কিসমত ইলিশপুর ১ নং ওয়ার্ডের সাধারণ ইউপি সদস্য পদে ভোট গননায় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসারের স্বেচ্ছাচারিতা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ও পুনরায় ভোট গণনের দাবিতে মানববন্ধন’ মূলক ব্যানার হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেয় কিসমত-ইলিশপুর ওয়ার্ডের হাজারো ভোটার নারী পুরুষ৷
গত ৫ জানুয়ারি উপজেলার কেরেলকাতা ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচনে ১ নং ওয়ার্ড কিসমত ইলিশপুর থেকে মেম্বার পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোট গ্রহণ শান্তি পূর্ণ ভাবে হয়৷ এতে ফুটবল প্রতিকের সাইফুর রহমান যার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মোরগ প্রতিকের প্রার্থী মজিবুর রহমান মজু ও তালা প্রতিকের আনারুল ইসলাম অংশ গ্রহণ করে৷
ফুটবল প্রতিকের সাইফুর রহমান ভোট গননা অনিয়মের অভিযোগ তুলে মানববন্ধনে জানায়, নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই ভোট গ্রহণ স্বাভাবিকভাবে হলেও ভোট গণনার সময় প্রিজাইডিং অফিসারের কারসাজিতে একপাক্ষিক ভাবে ফলাফল ঘোষণা করে প্রতিদ্বন্দ্বী মোরগ প্রতিকের প্রার্থী মজিবুর রহমান মজুকে অনিয়ম ভাবে তার এজেন্ট আহসান হাবিবকে মারপিট করে সাক্ষর না নিয়ে মোরগ প্রতিকের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করে৷ সাথে সাথে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানালেও কোন আমলে নেয়নি দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার হারুন আর রশিদ৷ ভোট গণনার অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে জানালে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন এবং তদন্তমূলক ভোট গননায় অনিয়ম পেলে সময় সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও তিনি জানান৷
এ বিষয়ে মানববন্ধনে ফুটবল প্রতিকের এজেন্ট আহসান হাবিব বলেন, ভোট গণনার সময় ভোট গণনা শেষ না করে প্রিজাইডিং অফিসার হারুন অর রশিদ মনগড়া ফলাফল ঘোষণা করতে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কে নির্দেশ দেন। এমন কথা শুনে প্রিজাইডিং অফিসারকে অনেক বার অনুরোধ করা হয় আবারও ভোট গণনা করার জন্য। তিনি হঠাৎ চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আমাকে মারতে নির্দেশ দেন। এ সময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা লাঠি দিয়ে মারপিট করে অন্য কক্ষে আটকে রাখে। এবং আমার কাছ থেকে ফলাফল শিটে কোন স্বাক্ষর না নিয়ে ফলাফল ঘোষণা করে৷ বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিয়মের মধ্য দিয়েই হয়েছে তদন্ত পূর্বক পুনরায় ভোট গণনা ও যারা মারপিট করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি৷
ভোটার রত্না খাতুন জানায়, কেন্দ্রের দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার অর্থ বা অনিয়মের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণা করেছে দ্বিতীয়বার ভোটগ্রহণের এলাকাবাসীরা দাবি জানালেও তিনি কর্ণপাত করেনি বরং একপাক্ষিক ফলাফল ঘোষণা করেছে তিনি সহ এলাকাবাসী এ ভোটগ্রহণের ফলাফল মানেনা বর্জন করেন এজন্য তিনি পুনরায় ভোটগ্রহণ অথবা ভোট গণনা করতে দাবি জানান৷
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, এ ঘটনায় ঘটনার দিন কোনো প্রার্থীর কাছ থেকে ভোট গণনার ফলাফলে অনিয়ম বা হতাহতের ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি৷ তবে যদি কোন প্রার্থী মনে করে ভোটের ফলাফলে অনিয়ম হয়েছে তাহলে তিনি অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন৷ অভিযোগ পেলে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান৷
কলারোয়া থানা অফিসার ইনচার্জ ভারপ্রাপ্ত ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানায়, নির্বাচনের দিন ভোট গ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণার পরে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে এমনকি রাস্তা ব্লক করেও তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে থাকে ঘটনাস্থলে পুলিশ বিজিবি প্রশাসনিক ব্যক্তি গিয়ে বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ তবে কোন মেম্বার প্রার্থীর কাছ থেকে থানায় কারো বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে ৷