প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ার ঘাট হাসান (৪৫)কে জমি দখল মামলায় আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলা চত্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হাসান আলী কলারোয়া উপজেলার দমদম বাজার এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে। এছাড়া এ মামলার অন্য আসামীরা হলেন- আটক হওয়া ঘাট হাসানের ছেলে রায়হান (২৪) ও চিড়াঘাট গ্রামের মৃত খালেক সরদারের ছেলে আনারুল ইসলাম (৫৮)। তাদের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানার মামলা নং- ০২/১৫৫। তাং- ০১/০৯/২৫
মামলার বাদী কেড়াগাছি-গাড়াখালী গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে জাফরুল্লাহ শান্টু জানান, ২০১৭ সালে তিনি কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের চিড়াঘাট মৌজায় নজরুল সাহেবের ইটভাটার দক্ষিণ পার্শ্বে আনারুলের কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করেন। দলিল অনুযায়ী প্রাচীর নির্মাণ করে তিনি দীর্ঘদিন জমিটি ভোগদখল করে আসছিলেন। একই বিক্রেতার নিকট থেকে হাসান বাকি অংশ জমি ক্রয় করে। হাসান পরে জমি কিনলেও শান্টুর আগে ক্রয়কৃত জমি হাসান আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবে দখল করে নেয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, পরে জমি কিনে ২০২৩ সালে ঘাট হাসান মূল সড়কসংলগ্ন জমির অংশ জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং শান্টুকে পেছনের অংশ বুঝিয়ে দেয়। এ সময় বাদী মালয়েশিয়ায় কর্মরত থাকায় তার বাবা থানায় অভিযোগ করলে তৎকালীন প্রভাবশালী নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকতেন বলে তাদের যোগসাজশে সেই অভিযোগ তুলে নেওযায়। এমনকি বাদীর বাবা ও চাচাকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারধর করা হয়। পরবর্তিতে শান্টুর বাবাকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে মিমাংসা করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- দেশে ফিরে জাফরুল্লাহ শান্টু থানায় মামলা করলে সোমবার পুলিশ হাসানকে আটক করে। হাসান দীর্ঘ ১২ বছর ধরে কলারোয়া থানা এলাকায় দালালী করে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের নিকট থেকে অবৈধভাবে অর্থ নিতেন। তাছাড়া এই হাসান সীমান্ত এলাকায় বসবাসকৃত চোরাকারবারিদের কাছ থেকে থানার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে টাকা আদায় করে কোটিপতি বনে গেছেন। টাকার গরমে তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান করে মানুষকে হয়রানী করতেন। করতেন নির্যাতনও।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানার ওসি শেখ সাইফুল ইসলাম জানান- মঙ্গলবার (আজ) সকালে হাসানকে জমি দখল মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসান সম্পর্কে বিগতদিনের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।