সাতক্ষীরা জেলা ভুমিহীন সমিতির পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে সাতক্ষীরা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সভাপতি মো: কওছার আলী।
সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ভূমিহীন সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম রসূল রাসেল, আনারুল ইসলাম রনি, মফিজুর রহমান, হাফিজুর রহমান, আরমান আলী, যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান আলী ছোট বাবু, রহমত আলী, অর্থ সম্পাদক আব্দুল আলিম, নাজমা ইসলাম নদী, মনিরুজ্জামান টুটুল, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মীর আশিক ইকবাল বাপ্পি, মহিলা নেত্রী নাজমা, নুর জাহান সাদিয়া, সালমা, শরিফা, ময়না প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, সাতক্ষীরায় খড়িয়াবিল এলাকায় জেলা প্রশাসকের উদ্ধার কর্তৃক ৩৪০ বিঘা জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টন না করে ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালুসহ কিছু দুর্বৃত্তের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের যোগসাজোসে বছরে ৬০ লক্ষাধিক টাকা সরকারের কোষাগারে না দিয়ে ২ বছর ধরে লুটপাট করে খাচ্ছে। এবিষয়ে ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। সে সময় জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করতেও ব্যর্থ হই। এমনকি বার বার জেলা প্রশাসকের মোবাইলে নাম্বারে ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করলেও তিনি ফোনও রিসিভ করেন না।
অবিলম্বে সাতক্ষীরার খড়িয়া বিলের জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে বন্টনের দাবি জানান বক্তারা। উক্ত সভাবেশে বক্তারা আরো বলেন সাতক্ষীরার বেতনা নদী খনন না করে পার্শ্ববর্তী খাল খননের নামে ড্রেন খনন করে খালের দুই পার্শ্বের উচ্ছেদ হওয়া ভূমিহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে দেয়ায় ভূমিহীনরা এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। বেতনা নদীর দুই পার্শ্বের বসবাসকারী ভূমিহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা চলবে না। এছাড়া সাতক্ষীরায় বিভিন্ন ইটের ভাটার লাইসেন্স না থাকা স্বর্তেও কতিপয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে তারা ইটের ভাটা পরিচালনা করে পরিবেশ দূষণ করছে। ইতোমধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এ অভিযান আরো বেশি করার দাবি জানান বক্তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তি