আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অস্টম আসরের সপ্তম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং সিন্ধান্ত নেই দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫০ ওভারই ব্যাট করেছে তারা। ৮ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ২১৯। জয়ের জন্য পাকিস্তানের সামনে এবি ডি ভিলিয়ার্সের দল ছুড়ে দিয়েছে ২২০ রানের লক্ষ্যমাত্রা।
এজবাস্টনে দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেয়া ২২০ রানের লক্ষ্য ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। কিন্তু বৃষ্টি বাধায় ইনিংসের ২৭তম ওভারের পর খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। পাকিস্তানের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ১১৯ রান। বাবর আজম ৩১ ও শোয়েব মালিক ১৬ রানে উইকেটে ছিলেন। এরপর খেলা আর মাঠে গড়ায়নি। তাতে বৃষ্টি আইনে পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১০০ রান। ফলে ১৯ রানের জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন সরফরাজ আহমেদরা।
প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুর্দান্ত জয় পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকাকে এদিন পুড়তে হয়েছে হতাশায়। বৃষ্টিতে খেলা থামার আগে ২৩ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০১ রান। প্রোটিয়াদের ৭ উইকেট। খেলা মাঠে গড়ালে এবি ডি ভিলিয়ার্সরা হয়তো জয় পেতেও পারতেন! কারণ চালকের আসনে থেকেও পাকিস্তানের হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ার নজির তো কম নেই! তবে এই জয়ে ২ ম্যাচে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘বি’র তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে পাকিস্তান। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে রান ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা আছে তাদের উপরেই। গ্রুপের শীর্ষে ভারত।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিল পাকিস্তান। কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪১ রান তুলে ফেলে স্কোরবোর্ডে। এরপর তিন বলের ব্যবধানে পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফিরিয়েছেন মর্নে মরকেল। পাকিস্তানের হয়ে এ ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ওপেনার ফখর জামানের। মারমুখী ব্যাটিং উপহার দিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ফখর। তবে অভিষেক ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ৬ চারে করেছেন ৩১ রান। আরেক ওপেনার আজহার আলির ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া পাকিস্তানের ইনিংস এরপর মেরামত করেছেন বাবর ও মোহাম্মদ হাফিজ। তৃতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেছেন ৫২ রান। মরকেলের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে হাফিজের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। এরপর বাবরের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ মালিক। তারপরই ম্যাচে বৃষ্টির হানায় পাকিস্তানের জয়।
এর আগে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের বোলারদের তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪০ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়াদের বিধ্বংসী ব্যাটিং লাইনআপ। ১১৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে ডেভিড মিলার তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম ওয়ানডে হাফসেঞ্চুরি। তার ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। পাকিস্তানের হয়ে হাসান আলি ২৪ রানে ৩ উইকেট নেয়া হাসান আলি হয়েছেন ম্যাচসেরা। এছাড়া ইমাদ ওয়াসিম ২০ রানে ও জুনায়েদ খান ৫৩ রানে ২টি করে উইকেট পান।