নিজস্ব প্রতিনিধি :
অবশেষে প্রাণ সায়র খাল দখল করে বাবুখানের অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অপসারন করা হয়েছে ঢালাই এর কিছু অংশ। ১৪ মে শনিবার সকালে আলোচিত বাবু খানের স্থাপনাসহ কয়েকটি অবৈধস্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা।
এর মধ্যে বড় বাজার সংলগ্ন খালের সম্পত্তিতে শরিফুল ইসলাম খান বাবু নির্মান করছিলেন অবৈধ স্থাপনা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেখানে গিয়ে কিছু অংশ ঢালাই অপসারন করেন এবং কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন। এছাড়া শহরের গার্লস হাইস্কুল মোড়ে জনৈক সালাউদ্দিন অবৈধভাবে নির্মাণ করছিল একটি দোকান। সেটিও ভেঙে দেন তিনি।
জানা গেছে, প্রাণ সায়র খনন সম্পন্ন হতে না হতেই আবারো অবৈধ দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে দখলদার চক্র। গতবছর প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে খালটির খনন কাজ শুরু হয়। এর ফলে গতবছর খালটি অবৈধ দখল ও দুষণ মুক্ত করতে মাঠে নামে প্রশাসন। উচ্ছেদ করে দেওয়া হয় অবৈধদখলদারদের। বড়বাজার সংলগ্ন মৎস্য ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম খান বাবুর স্থাপনাটিও ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে প্রাণ সায়র খালের প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা করা হয়।
খালটির নির্মাণ কাজ এখনো শেষ হয়নি। কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই শরিফুল ইসলাম খান বাবু পুনরায় খালের জায়গা দখলের চক্রান্ত শুরু করেন। বিশেষ করে সম্প্রতি জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়কের পদ হাতিয়ে নেন তিনি। আর এরপর থেকেই অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে রাতের আঁধারে নতুন করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান শুরু করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় বাজারের একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, ছিলেন ব্যবসায়ী।
কৌশলে স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়কের পদ পেয়ে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করেন তিনি। কাউকে তোয়াক্কা করেন না। সারা শহর জুড়ে তার পোস্টারের ছড়াছড়ি।
এবিষয়ে শরিফুল ইসলাম খান বাবুর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পূর্বের ডিসি সাহেব ভেঙে দিয়েছিল। আমি আদালতে মামলা করেছিলাম। আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা পৌর প্যানেল মেয়র (৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিল) কাজী ফিরোজ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আজ সকালে নিজে দাড়িয়ে থেকে বাবু খানের কিছু অংশ ঢালাই ভেঙে দিয়েছি। তবে বাবুখানের পক্ষে একটি রায় রয়েছে। আমরা অবশ্য উচ্চ আদালতে লিখেছি। এছাড়া গালর্স স্কুল মোড়ের একবারে রাস্তার ধারে নির্মিত দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে।