নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরায় জাল টাকা নিয়ে আটক হওয়া রানা কর্তৃক দীর্ঘদিনের পৈত্রিক সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল করতে ভাড়াটিয়া বাহিনী নিয়ে প্রাচীর ভাংচুর ও খুনসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন, দক্ষিণ কাটিয়া রেজিস্ট্রি পাড়া গ্রামের শেখ জিল্লুর রহমান জুয়েলের স্ত্রী তহমিনা পারভীন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কাটিয়া মৌজায় এস.এ ১৩৬৬ নং খতিয়ানের সাবেক ১৮৮৬ দাগের ৫৪ শতক ভূমির পূর্বাংশে ২৭ শতক ভূমি বাদে পশ্চিমে সাড়ে ১৩ শতক পশ্চিমাংশে দক্ষিনাংশে মধ্যস্থলে সাড়ে ৬ শতক সম্পত্তির মধ্যে ৬ শতক জমির উপর ভবন নির্মাণ করে দীর্ঘদিন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছি।
সম্প্রতি কাটিয়া (রেজি: অফিস পাড়া) এলাকার মৃত শেখ আব্দুর রশিদের পুত্র শেখ আব্দুর রানা ও শেখ আব্দুর রাজ্জাক রাজু এবং রেজাউল ইসলামের কু নজর পড়ে আমার উক্ত সম্পত্তির উপর।
এর জের ধরে উল্লেখিত ব্যক্তিরা বর্নিত সম্পত্তি গায়ের জোরে দখলের চেষ্টা করলে গত ৩ জুলাই ২০২২ সাতক্ষীরা সদর সহকারী জজ আদালতে দেঃ ৩৪৬/২২ (সাতঃ ) নং মামলা করিলে বিজ্ঞ আদালত তাদের ১০ দিনের মধ্যে হাজির হয়ে কারন দর্শাইতে নির্দেশ দেন। গত ৪ আগস্ট ২০২২ আদালতে হাজির হইয়া সময়ের আবেদন করে। মামলা চলমান অবস্থায় গত ইং ২৫.০৮.২০২২ সন্ধ্যার পরপরই শেখ আব্দুর রহমান রানা, শেখ আব্দুর রাজ্জাক রাজুসহ ২০/২৫ জন ভাড়াটিয়া বাহিনী লাঠিসোটা লইয়া গায়ের জোরে বর্নিত সম্পত্তি দখলের পায়তারা করলে বাধা দেওয়ায় রানা ও রাজুল আমাদের মারপিট করে রক্ত্যক্ত ফোলা জখম করে।
একপর্যায়ে আমার প্রাচীরের দেওয়াল ভাংচুর করে আনুমানিক ১ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তখন ডাকচিৎকার দিলে এগিয়ে আসলে আমার স্বামী সহ আমার পরিবারকে হত্যার হুমকি ও বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে আমার স্বামী জিল্লুর রহমান অসুস্থ্য বোধ করলে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি। এক্ষুনে আমি আমার ভাঙ্গা প্রাচীর মেরামত করিতে চাইলে তারা বাধা দিচ্ছে। আমার স্বামী অসুস্থ্য মানুষ। আমরা অত্যান্ত অসহায় প্রকৃতির হওয়ায় উল্লেখিত রানা এবং রাজু কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে আমার বাড়িঘর অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তারা আইন আদালত কোন কিছুই মানে না। উল্লেখিত আব্দুর রহমান রানা জাল টাকা নিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়। মামলাটি চলমান রয়েছে। এছাড়া উল্লেখিত শেখ আব্দুর রাজ্জাক রাজু ঢাকায় থাকাকালিন সময়ে ফারইস্ট ইন্সুরেন্স কোম্পানির ৩/৪ শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে গোপনে বাড়িতে আসে। কোম্পানির টাকা হাতিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জমি ক্রয় করেছে রাজু। এখন রাজুর কু নজর পড়েছে আমাদের মত অসহায় পরিবারের সম্পত্তি উপর। প্রকাশ্যে রাজু ও রানা হুমকি প্রদর্শণ করে বলছেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার বাড়ির সামনে গেট বাসাবে, সিড়ি ভেঙে দেবে। এছাড়া খুন জখমের হুমকি তো রয়েছে। আমি স্বামী সন্তান নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ওই পর সম্পদলোভী রাজু ও রানার কবল থেকে আমার স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষা এবং নিরাপত্তার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা