নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের বৈকারী কুশখালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য ও কুশখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য
তুহিন এর অত্যাচারে ও রোষাণলে অতিষ্ঠ বিদ্যালয়
ম্যানেজিং কমিটিসহ এলাকাবাসী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অপকর্মের অভিযোগ।
বৈকারী কুশখালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম জানান, ইউপি সদস্য তুহিনকে আমি বিদ্যুৎসায়ী সদস্য বানিয়েছি। সে স্কুলে
চাকুরী দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে অর্থ গ্রহণ করেছে মর্মে
অভিযোগ পেলে তাকে সতর্ক করি। কিন্তু সে আমার কথা শোনেনি। স্কুলের সভাপতি
ও প্রধান শিক্ষকের নাম ভাঙ্গিয়ে চাকুরী দেওয়ার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা
আদায় করেছে। সম্প্রতি স্কুলের শুণ্য পদে কয়েকজনকে নিয়োগ দেওয়া হলে চাকুরী
দেওয়ার নামে তার টাকা গ্রহণ করা প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করায় টাকা
পরিশোধ করতে না পারায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে নিয়োগ প্রাপ্তদের অনুমোদন
পত্রের রেজুলেশনে স্বাক্ষর করে তার প্রাপ্য সম্মানী গ্রহণ করেছে। অথচ সে
এখন বলছে অবৈধ অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। মাছ না পেয়ে ছিপে
কাঁমড়। তার নির্ধারিত লোকদের না নেওয়ায় উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে দিয়ে
বিদ্যালয়টির সুনাম নষ্ট করতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য
দিয়ে গত ২৫ অক্টোবর সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঐ লোভী
ইউপি সদস্য ও বিকে ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য একাধিক
অপকর্মের হোতা তুহিন। লোকের টাকা পরিশোধ করতে সে বৈকারী কুশখালী ইউনিয়ন
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে থাকা তাল গাছ কেটে বিক্রি শুরু করে। মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী বজ্রপাত রোধে বেশি বেশি তাল গাছ লাগাতে উৎসাহ দিচ্ছেন। এরই
মধ্যে সামান্য টাকার জন্য বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য বিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সন্ধ্যার পরে গোপনে তাল গাছ কেটে বিক্রি করছে। তাল
গাছ কাটতে গেলে ইতিমধ্যে তাকে তাল গাছ কাটায় বাঁধা প্রদান করা হয়েছে
বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে। সে শুনছেনা বিধায় বৈকারী কুশখালী ইউনিয়ন মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসায়ী সদস্য ও ইউপি সদস্য তুহিন এর বিরুদ্ধে গাছ কাটা
নিয়ে অভিযোগ করতে সাতক্ষীরা সদর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছিল বলে
জানা গেছে।