নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজের লিঙ্গ কর্তনের নাটক সাজিয়ে স্ত্রীকে ফাসিয়ে পরোকিয়া প্রেমিকাকে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মিথ্যা মামলায় চার মাস হাজত বাসের পর বিচারের আসায় দারে দারে ঘুরছেন শারমিন আক্তার নামের এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ভারসা গ্রামে।
ঘটনা সুত্রে জানাযায়, তালা উপজেলার মদনপুর গ্রামে নানার বাড়িতে বড় হওয়া শারমিন আক্তারের সাথে ২০১৮ সালে পাটকেলঘাটার ভারসা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে বহু পরোকিয়া প্রেমের হোতা মেহেদি হাসানের সাথে ইসলামী শরিয়াত মোতাবেক বিবাহ হয়। বিবাহের দুই বছর যেতে না যেতেই পাটকেলঘাটা এলাকার পার্লারে কাজ করা একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন, বিষয়টি স্ত্রী শারমিন আক্তার জানতে পারায় স্বামী মেহেদী হাসান শারমিনের উপর বিভিন্ন ভাবে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালানোর এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার।
তিনি আরো জানান, সেই পরিকয়ার জের ধরে আমার স্বামী মেহেদী হাসানের পরকিয়া প্রেমের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে লিঙ্গ কর্তনের নাটক সাজিয়ে তার দায়েযর করা একটি সড়যন্ত্র মামলায় ৪ মাস জেল খাটতে হেেয়যছে শমারমিনকে। এখন জামিনে এসে মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। ভুক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগ, আমি যদি তার লিঙ্গ কর্তন করি তাহলে সে ২৪ নভেম্বর পরোকিয়ার সেই মেয়েকে কিভাবে বিবাহ করলো মেহেদী। আমার দুই বছরের শিশু পুত্রকে আকটে রেখে গোপনে আমাকে তালাক দিয়ে দেয় লম্পট মেেেহদী হাসান। আমি আমার পুত্রকে ফিরে পেতে প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট মিথ্যা লিঙ্গ কর্তনের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসানের পিতা নওয়াব আলীর কাছে ছেলের পরোকিয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন আমি পুত্রবধু শারমিনকে ধৈর্য্য ধরে থাকতে বললেও আমার পুত্রের লিঙ্গ কর্তন করে সে। এর পর কোটের মাধ্যমে তাকে তালাক করানো হয়েছে। গত ২৪ নভেম্বর আমার পুত্রকে নতুন কওে আবর বিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেহেদী হাসানের কাছে লিঙ্গ কর্তনের পর বিয়ে করলে কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।