শ্যামনগর প্রতিনিধি :
শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েই সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ক্ষমতা জাহির করলেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ। পিটিয়ে আহত করলেন গোপালপুর সার্বজনীন দূর্গা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও শ্যামনগর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৩ বছর ধরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা সুরেশ মণ্ডল ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর ।
বতর্মান সুরেশ মন্ডল গুরুতর আহত অবস্থায় শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে সংখ্যালঘু সুরেশ মন্ডলকে কুপিয়ে আহত করে ক্ষ্যান্ত হননি তার নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা চাইনিজ কুড়াল লোহার রড জি আই পাইপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে সুরেশ মন্ডলের পুত্র উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী রাজু মন্ডল কে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা সহ তাদের বসত বাড়ি ঘরের এডবেস্টাসের চাল সহ ভেঙে তছনছ করা সহ লুটপাট করেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে। এ ঘটনায় সুরেশ মণ্ডল বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় গত ইং ২৭ ডিসেম্বর রাত্রে আব্দুল হাকিম সবুজ কে প্রধান আসামি করে ও এজাহার নামীয় ১৩ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাত আরও ২৫/৩০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। মামলা নাম্বার ২৭।একই ঘটনা দেখিয়ে উক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ নিজেদেরকে বাঁচানোর জন্য ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ মণ্ডল সহ সংখ্যালঘু পরিবারের ১৪ জন সদস্যকে আসামি করে শ্যামনগর থানায় পাল্টা একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
মামলা নাম্বার ২৮। দীর্ঘ দিনের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ও গোপালপুর পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সুরেশ মন্ডল ও তার পরিবারের উপর এমন বর্বরচিত হামলার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ চরমভাবে ক্ষুব্ধ।তারা অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী নেতৃত্বদানকারী উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুল হাকিম সবুজ কে গ্রেফতার করা সহ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন ও তাকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছে।