নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি সামছুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার আত্মহতনন প্ররোচনা মামলার কোন আসামীকে তিন দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। তবে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা বলছেন, আসামীরা সকলে পালিয়ে এলাকার বাইরে চলে যাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি সামছুর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আত্মহননকাাির প্রধান শিক্ষক আবুল বাশারের স্ত্রী নুরুন্নাহার জানান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম সভাপতি থাকাকালিন গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চারজন কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়। ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় নিয়োগ বোর্ড আয়া পদে মারুফা খাতুনের আবেদনপত্র বাতিল করে নিয়োগ বোর্ড।
আবেদনপত্র বাতিলের দোষ তার স্বামীর উপরে চাপিয়ে দিয়ে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন অভিভাবক সদস্য পরিকল্পিতভাবে মারুফাকে দিয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণের চেষ্টা ও টাকা আত্মসাতের মামলা করান। আব্দুর রহিম নতুন কমিটির সভাপতি হওয়ার পর থেকে হয়রানি করতে থাকেন। পরে তার স্বামীকে বাঁচানোর নামে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে শিক্ষক আব্দুল মজিদ, সহকারি শিক্ষক সালাহউদ্দিন, শিক্ষক আব্দুল মান্নান , অভিভাবক সদস্য মারুফা খাতুন ও জাকির হোসেনের যোগসাজসে বর্তমান সভাপতি আব্দুর রহিম ও অভিভাবক সদস্য আলী মোর্তুজা প্রধান শিক্ষকের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক তাদেরকে সম্প্রতি পাঁচ লাখ টাকাও দেন। বাকী ৪৫ লাখ টাকার জন্য আলী মোর্তুজাসহ অন্যান্যরা প্রধান শিক্ষককে চাপসৃষ্টি ও হুমকি অব্যহত রাখে। এতে মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক সভাপতির কাছে ছুটি চান।
সভাপতি তা মঞ্জুর না করে গত ২ জানুয়ারি প্রধান শিক্ষককে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেন। এতে প্রধান শিক্ষক মানসিক হারসাম্য হারিয়ে ফেলে বুধবার গোপালপুরে তার ভ্য়ারা ভাই ইটালী প্রবাসী আবু সাঈদের বাড়ির ভাড়া বাসার সামনে আমগাছে গলায় তোয়ালের ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
এ ঘটনায় তিনি সভাপতি আব্দুর রহিমসহ সাত জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার রাতে থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে মামলা করেন। কিন্তু ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ কোন অসামীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে দুই শিক্ষার্থী সন্তানকে নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, আসামীরা এলাকার বাইরে অবস্থান করায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।