আশাশুনি প্রতিনিধি:
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের হেতাইলবুনিয়া গ্রামের মাদুর ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ গাইনের স্ত্রী দুই সন্তানের জননী চামেলী রায় (২৬) কথিত প্রেমিক বাদল গাইনের সাথে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে।
শুক্রবার ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে স্বামী বিশ্বজিৎ, মেয়ে বন্যা ও নদীয়াকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে বাদলের হাত ধরে আবারো ঘর ছেড়েছে। তবে গৃহবধূর স্বামী বিশ্বজিৎ এখন তিন বছরের শিশুকন্যা নদীয়াকে উদ্ধার চেয়ে আশাশুনি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, হেতাইলবুনিয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ গাইনের ছেলে নারী লোভি, মাদক ব্যবসায়ী বাদল গাইন একই গ্রামের নিরাপদ গাইনের ছেলে বিশ্বজিৎ গাইন ব্যবসার সুবাদে প্রায় সময় এলাকার বাইরে থাকতেন এ সুযোগে রাতে দিনে স্ত্রী চামেলী রায়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মন দেওয়া নেওয়া করে আসছে। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিষয়টি স্বামী বিশ্বজিতের দৃষ্টি গোচর হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহিত করে। কিন্তু এলাকার একটি স্বার্থন্বেষী মহল লোভ বা লাভের পার্শবর্তী হয়ে স্ত্রী চমেলী রায়কে অর্থের বিনিময় বাদলের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। এরমধ্যে কয়েকবার বাদল গাইন চামেলী রায়কে কৌশলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ঘরছাড়া করেছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় গৃহবধূর ঘর সংসার পুনরায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এছাড়া ঘর সংসার রক্ষার্থে স্বামী বিশ্বজিৎ আশাশুনি থানায় বাদল গাইন সহ অন্যান্যদের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে সর্বশেষ বহু জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গত ২৭ জানুয়ারি বাদলের মিশন বাস্তবায়ন করতে পরিবারের সবাইকে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে স্বর্ণালংকার নগদ এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে ওই রাতেই শিশু কন্যা ও স্ত্রী চামেলী রায়কে নিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত স্বামী এখন শিশু কন্যাকে উদ্ধারের স্বার্থে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাদল কর্তৃক শিশু কন্যা নদিয়ার জীবননাশের আশঙ্কা করছে বলে জানিয়েছেন স্বামী বিশ্বজিৎ।
এ ব্যাপারে আশাশুনি থানা পুলিশের সাথে কথা হলে কর্তব্যরত এস আই ইমরান হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্তপুর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উক্ত বিষয় বাদল গাইনের পরিবারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।